এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সবলা থেকে বইমেলা, সংক্ষেপে পুজো সারতে ব্যস্ত রাজ্য!

সবলা থেকে বইমেলা, সংক্ষেপে পুজো সারতে ব্যস্ত রাজ্য!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2011 সালে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ক্ষমতায় আসার পর ব্যাপক ঋণ করে গিয়েছে বাম সরকার বলে অভিযোগ করা হয় তৃণমূলের তরফে। নানা সভা-সমিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, রাজ্যের উন্নয়ন করা যাচ্ছে না শুধুমাত্র বিগত সরকারের দেনা করে যাওয়ার জন্য। কিন্তু তারপরেও শীতকাল পড়লেই সরকারের পক্ষ থেকে নানা জেলায় নানা উৎসবের আয়োজন করা হয়। সবলা থেকে শুরু করে বইমেলা, শ্রমিক মেলা থেকে শুরু করে মাটি উৎসব, শীতের সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খাওয়া-দাওয়া এই সমস্ত কিছুতেই মজে থাকতে দেখা যায় বাঙালিকে।

স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পক্ষ থেকে একের পর এক উৎসব নেওয়া হলে বিরোধীদের তরফ থেকে করা হয় প্রশ্ন। বিরোধীরা দাবি করেন, যে সরকার এত দেনা রয়েছে বলে উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটছে বলে অভিযোগ করে, সেই সরকার এত উৎসব করার টাকা পাচ্ছে কোথায়! কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনের মুখে সবলা থেকে শুরু করে বইমেলা নানা উৎসব হলেও তা যেন নমো নমো করেই সারতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারকে। স্বাভাবিকভাবেই সরকারের উৎসব নিয়ে এই ধরনের মতিগতিকে কেন্দ্র করে এবার তৈরি হয়েছে জল্পনা। যে সরকার শীতকাল পড়লেই নানা উৎসবের জন্য উদ্যোগ নিতে শুরু করে, সেখানে এবার উৎসব নিয়ে এই ভাটা কেন, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হতে শুরু করেছে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আসলে এতদিন খেলা, মেলা, উৎসব নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তাই সামনে যখন বিধানসভা নির্বাচন এবং বিজেপি যখন ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে, তখন সেই মেলা এবং উৎসবকে কার্যত নমো নমো করে বার্তা দিতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার। অর্থাৎ তারা বুঝিয়ে দিতে চাইছে, শুধুমাত্র মেলায় মজে থাকে না তাদের সরকার। তাই এই পরিস্থিতিতে বিরোধীদের বার্তা দেওয়ার জন্যই এবার জেলায় জেলায় উৎসবকে সংক্ষিপ্ত আকারে করতে দেখা যাচ্ছে রাজ্য সরকারকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ এই কথা বললেও, তা মানতে নারাজ শাসক ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের দাবি, বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি চলছে। তাই এবার সংক্ষিপ্ত আকারে উৎসব হচ্ছে। এর সঙ্গে বিরোধীদের কথার গুরুত্ব দেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। বিরোধীরা বাংলার কৃষ্টি-সংস্কৃতি জানে না। তাই তাদের কুৎসার জবাব বাংলার মানুষ দেবে। পর্যবেক্ষকদের মতে, উৎসব-প্রিয় রাজ্য সরকারকে মাঝেমধ্যেই কটাক্ষ করছে বিরোধীরা। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে ব্যাপকভাবে ভাঙন ধরাতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

তৃণমূলের এককালের দাপুটে নেতারা এখন বিজেপিতে যোগদান করে নানা ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করতে শুরু করেছেন। যেখানে মেলা, খেলা, উৎসব করে রাজ্য সরকার পরিস্থিতিকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ বছরে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সেই মেলা সংক্ষিপ্ত করে দেওয়ায় বিরোধীদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করল তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!