এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে ভোট প্রচারের ধরন-ধারণ পাল্টাচ্ছে দ্রুত, ভোটের অংক মেলাতে হিমশিম কর্মীরা!

সোশ্যাল মিডিয়ার দাপটে ভোট প্রচারের ধরন-ধারণ পাল্টাচ্ছে দ্রুত, ভোটের অংক মেলাতে হিমশিম কর্মীরা!

এতদিন যে কোনো নির্বাচনের প্রচারের জন্য মাঠ এবং ময়দানকেই বেছে নিতেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু আধুনিক যুগে ইট-কাঠের মধ্যে চলে এসেছে গোটা সমাজ। তাই প্রচারপর্বের কৌশলও অনেকটাই বদলাতে শুরু করা যায়। আগে বিভিন্ন নকল ইভিএম, নকল ব্যালট, সাইকেল রালি, রাতভর তাসের আড্ডা এবং নাটককে হাতিয়ার করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের যে নির্বাচনী প্রচার চালাত, এখন আর এই সমস্ত প্রচারকে খুঁজেই পাওয়া যায় না।

বরঞ্চ আধুনিক যুগের সঙ্গে তালে তাল মেলাতে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটেই বিভিন্ন প্রার্থীদের সমর্থনে চলছে জোর প্রচার। অনেকে বলছেন, বর্তমানে খেলার মাঠ ছেড়ে গোটা যুবসমাজ মোবাইলে বন্দি হয়ে রয়েছে। সারাদিনের অবলম্বন হিসেবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা নেটকেই তারা বেছে নিয়েছে। তাই এবারে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি ডিজিটাল প্রচারে দেখা যাচ্ছে কান্দি মহকুমাকেও।

এতদিন নকল ব্যালট পেপার নিয়ে বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে কেন তারা প্রার্থীকে ভোট দেবেন! সেই ব্যাপারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা প্রচার চালাতেন। কিন্তু এবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটই সমস্ত কিছু হয়ে যাওয়ায় প্রচার পর্ব করলেও ভোটের অংক কিভাবে মিলবে তা বুঝতে পারছেন না এই কান্দি মহকুমার বিভিন্ন দলের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদরা। তবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রচার চললে কান্দি মহকুমা খড়গ্রাম ব্লকের বালিয়া গ্রামে গ্রামে তৃণমূল কর্মীদের নকল ইভিএম নিয়েই এদিন প্রচার করতে দেখা গেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে খড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা তৃণমূল নেতা সুপ্রিয় ঘোষ বলেন, “প্রচারের পুরনো প্রথা হলেও আমরা এভাবেই প্রচার করছি।” অন্যদিকে সাইকেল রালের কথা স্মরণ করে এবারে আধুনিক যুগের সঙ্গে তালে তাল মেলাতে বাইক রালী চলছে বলে জানান সিপিএমের ক্ষেতমজুর সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য তথা ভরতপুর 1 ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাসিন্দা পাগলচন্দ্র মন্ডল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু আগে এই ডিজিটাল প্রচার না থাকায় বেশি করে মিটিং মিছিল হত এবং কে কাকে টেক্কা দিতে তা ভালোভাবে বোঝা যেত‌। কিন্তু এখন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বেশি প্রচার হওয়ায় তা আর বোঝা যায় না বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকতাকেও প্রয়োগ করতে হয় বলে জানান জেলা তৃণমূলের অন্যতম নেতা অশোক দাস।

এদিকে এই প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “পুরোনোকে কখনও ভোলা যায় না। পুরনো প্রথা রয়েছে। কিন্তু তাতে শুধু যোগ হয়েছে আধুনিকতা।” সব মিলিয়ে এবার সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রচার প্রক্রিয়া বেশি হওয়ায় অতীতে নকল ইভিএম নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচার করা, মিটিং-মিছিল – এই সমস্ত কিছুর অভাব বোধ করতে শুরু করেছেন প্রবীণ রাজনীতিবিদরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!