এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সংখ্যালঘু ভোটের হাত ধরেই হবে কামাল করা ফল? মাইনরিটি সেলকে বিশেষ দায়িত্ব তৃণমূল নেতৃত্বের

সংখ্যালঘু ভোটের হাত ধরেই হবে কামাল করা ফল? মাইনরিটি সেলকে বিশেষ দায়িত্ব তৃণমূল নেতৃত্বের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গত লোকসভা নির্বাচনে এই সংখ্যালঘুদের সমর্থনের জন্য তৃণমূলের যে কিছুটা হলেও মুখ রক্ষা হয়েছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। তাই এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটকে হাতিয়ার করেই এগোতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। মালদহ জেলার তৃণমূল ভালো ফল করতে এখন সংখ্যালঘু সংগঠনকে হাতিয়ার করেই প্রচার করতে শুরু করেছে। যেখানে তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে প্রচারের মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের সংখ্যালঘু সেলের ওপর। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের অন্যান্য সংগঠনের অপেক্ষা এখানে সংখ্যালঘু সংগঠন বেশি গুরুত্ব পাওয়ায় ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।

কিন্তু কেন মালদহে জয়লাভ করতে সংখ্যালঘু সংগঠনের ওপর ভর করতে হল তৃনমূলকে? এদিন এই প্রসঙ্গে সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে রূপশ্রী, সবুজসাথী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী সত্তরটি জনহিতকর প্রকল্প চালু করেছেন। তার সুবিধা পেয়েছেন সমস্ত সম্প্রদায়ের নাগরিকরা। উন্নয়নের জন্য তাই এবার মানুষ বুঝতে পেরেছেন, রাজ্য সরকার কতটা জনমুখী। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত নাগরিকরা তাই এবার তৃণমূলমুখী।”

একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত সুক্ষভাবে এই সংখ্যালঘু সমর্থন পেতে তাদের মধ্যে দিয়ে মালদহ জেলার সংগঠনকে পুনরুদ্ধার করতে চাইছে। এক্ষেত্রে মালদহ জেলায় যেহেতু সংখ্যালঘু মানুষরা বেশি পরিমাণে থাকে, সেখানে সংগঠনের প্রচার বেশি পরিমাণে করবার জন্য সেই সংখ্যালঘু সংগঠনকেই কাজে লাগাতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। একদিকে বিজেপির উত্থান এবং অন্যদিকে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই মালদহ জেলা। তাই এই দুই রাজনৈতিক দলকে কুপোকাত করতে সংখ্যালঘু সংগঠনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচার কতটা ফলপ্রসূ হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই চেষ্টা করা হলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস বিধায়ক মুস্তাক আলম বলেন, “মালদহের মাটি অসম্প্রদায়িক মাটি। বরকত সাহেব ও কংগ্রেসের সঙ্গে যে সব সম্প্রদায়ের নাগরিক রয়েছে, তা প্রমাণ হয়ে যাবে।” একই কথা শোনা গেছে মালদহ জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায়ের গলায়। তবে বিরোধীরা এই দাবি করলেও, তাতে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের দুয়ারে উন্নয়ন ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। একথা ঠিক, দীর্ঘদিন মালদহের মানুষ সংখ্যালঘু ভোটারদের সমর্থন করেছেন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন এবং অন্যদিকে বিজেপির মত অগণতান্ত্রিক এবং সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ঠেকানোর জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপসহীন লড়াই এবার সংখ্যালঘু মানুষদের মনে আস্থা তৈরি করেছে। জেলার অধিকাংশ আসনে তৃণমূলের সাফল্য নিশ্চিত।”

তবে যে দলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, আসল কথা বলবেন সাধারন মানুষ। আর ভোটবাক্স খোলার পরই প্রমাণ হয়ে যাবে, মানুষ কার প্রতি ভরসা রেখেছেন। সেদিক থেকে এখন মালদহ জেলার সংখ্যালঘু সংগঠনের মধ্যে দিয়ে প্রচার করে জনমত নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা করলেও, শেষ পর্যন্ত কতটা সফলতা পায় তৃণমূল, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!