এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সরাসরি পুলিশকে হুমকি রাজ্য বিজেপি হেভিওয়েট নেতার, রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু!

সরাসরি পুলিশকে হুমকি রাজ্য বিজেপি হেভিওয়েট নেতার, রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই আবারও রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের মসনদ দখল করার লড়াইয়ে নামার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। কিন্তু সেই পরিস্থিতির মধ্য দিয়েই যত্রতত্র রাজনৈতিক হানাহানি ঘটে যাচ্ছে বলে দাবি রাজ্যের বিরোধীদলগুলির। সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার চক ইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসমি গ্রামে এরকমই একটি রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ঘটে এবং যার কারণে মৃত্যু হয় বিজেপি সদস্য পবন জানার।

ঘটনার পর থেকেই দাঁতন থানার অন্তর্গত চক ইসমাইলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুসমি গ্রাম রীতিমতো থমথমে হয়ে আছে বলে জানা গেছে। কথা ছিল আগে থেকেই, শনিবার পবন জানার মৃতদেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সেইমতো শনিবার পবন জানার দেহ নিয়ে গ্রামে ফেরেন দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বস, পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জোতির্ময় সিং প্রমুখরা। কিন্তু পবন জানার দেহ গ্রামে পৌঁছানোর পর রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এলাকাবাসীরা এবং পুলিশের গাড়ির ওপরেই তাঁরা হামলা করেন বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকার কর্মীদের কাছে থানা জ্বালানোর মত উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন বলে জানা গেছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে বর্তমানে রাজনৈতিক জলঘোলা। যদিও সেই মুহূর্তে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু পরিস্থিতি সামলানোর জন্য গ্রামবাসীদের অনুরোধ করে বলেন, “আপনারা এখনই উত্তেজিত হবেন না। ৬ মাস অপেক্ষা করুন। পুলিশকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেব৷ এখন মারপিট বা ভাঙচুর করবেন না৷ তবে এরপর আমাদের আর একজনের গায়ে হাত পড়লে দাঁতন থানা জ্বালিয়ে দেব৷”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, মৃত বিজেপি সদস্য পবন জানার দেহ রীতিমতো মোটর বাইক মিছিল করে দাঁতনের উদ্দেশ্যে। পথে যেসব বিজেপি কার্যালয়ের সামনে পবনের মৃতদেহ দাঁড়িয়ে ছিল সেখানেই প্রত্যেক স্থানীয় বিজেপি নেতাকর্মীরা তাঁকে শ্রদ্ধা জানান বলে খবর। বেলা একটা নাগাদ কুসমি গ্রামে প্রবেশ করে পবন জানার দেহ। যদিও পবন জানার হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছে পুলিশের হাতে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজ্য বিজেপি শিবিরের মন্তব্যে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি শাসকদলের পক্ষ থেকে।

তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, যেভাবে সায়ন্তন বসু সরাসরি পুলিশকে হুমকি দিলেন, তা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট সমালোচনার সৃষ্টি করবে। রাজ্যের বিরোধী দলগুলি প্রথম থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছে, রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার। দাঁতন থানার ঘটনায় বিরোধী দল বিজেপির সেই অভিযোগকেই আরো প্রবল করে তুলল বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দিনে বাংলার রাজনীতিতে নতুন কোন অধ্যায় রচনা হয় কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!