প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা ভোটের আগে এখন সব দলই নিজেদের ঘর গোছাতে ব্যস্ত। আর সেখানে বাদ যায়নি বিজেপিও। আর তাই সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ আরও বাড়িয়ে নেওয়ার তাগিদেই বিজেপিকে রাজ্যের প্রায় সর্বত্রই ‘চা-পে-চর্চা’ কর্মসূচি চালাতে দেখা গেছে। আর সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতে গিয়ে শুক্রবার শিলিগুড়ির খড়িবাড়ি এলাকায় বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর মন্তব্য ঘিরে আবারও জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সম্প্রতি শিলিগুড়ির এক সভাতে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে তাঁকে। সেখানে তিনি যেমন স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে যেমন কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরেন, তেমনি তৃণমূলকেও কটাক্ষ করতে দেখা গেছে তাঁকে। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান সম্পর্কে বলতে গিয়ে যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির বলেন শুভেন্দু অধিকারী কী করবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে সময়ের সঙ্গে তাঁর দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে বলেই জানিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি সমস্ত জল্পনাকে সত্যি করে একে একে নিজের সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে দেখা গেছে শুভেন্দু অধিকারীকে। সেখানে একে একে তিনি এইচআরবিসি এবং মন্ত্রিত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলেই জানা গেছে। শুধু তাই নয়, সেইসঙ্গে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদও তিনি ছেড়ে দিয়েছেন বলেই জানা গেছে।

সেইসঙ্গে তাঁকে ফিরিয়ে দিতে দেখা গেছে রাজ্য সরকারের দেওয়া নিরাপত্তাকেও। জেট ক্যাটাগরির নিরাপত্তা আর পাইলট কার দুটিই তিনি ফিরিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আর এমন পরিস্থিতিতে রাজনীতিবিদরা মনে করছেন যে আসলে শুভেন্দু অধিকারী এভাবেই বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, তাঁর পদ ছাড়তে এক মুহূর্তও লাগে না। পদের প্রতি যে তাঁর বিন্দুমাত্র লোভ নেই, সেই কথাই প্রমাণ করলেন তিনি।

অন্যদিকে, তথ্য সূত্রে জানা গেছে আজ রাতে কলকাতায় আসছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত। আর আজ রাতেই মোহন ভাগবতের সাথে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠক আছে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে অনুমান করা হচ্ছে যে, এই বৈঠক কেবল সময়ের অপেক্ষা।

কারণ আজ যেখানে তিনি মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়েছেন, সেখানে শুভেন্দু অধিকারী এই বৈঠকের পর দিল্লী উড়ে যাবেন বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আর আগামীকাল দিল্লীতে বিজেপির সদর দফতরে গিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগদান করবেতন বলেও অনুমান করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে এরই মধ্যে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ তথা যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ সেই জল্পনাকে আরো বেশি করে উস্কে দিয়েছেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে এদিন সৌমিত্র বাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মিথ্যা কথা বলতে ভালোবাসেন। তিনি মিথ্যার রানি।” কিন্তু এখানে ভাবনার বিষয় হচ্ছে, মন্ত্রিত্ব ছাড়লেও এখনও নন্দীগ্রামের বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা যায়নি শুভেন্দু অধিকারীকে। যদিও এই বিষয়ে বলতে গিয়ে অধিকারী পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, একই পরিবারে অনেক পদ, অনেকের ঈর্ষার কারণ।

আর তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই মনে করেছেন তাঁরা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, এই বিষয়টা পুরোপুরি তাঁর দাদার ব্যক্তিগত। সেখানে সিদ্ধান্তও তাঁর। তবে তিনি তৃণমূল কর্মী ছিলেন, আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে বিধায়ক করেছেন, সাংসদ করেছেন বলেই জানিয়েছেন তিনি।