এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে শুরু মাওবাদীদের আনাগোনা, সামাল দিতে জনসংযোগ শিবিরের আয়োজন

পুরুলিয়ার প্রত্যন্ত গ্রামে শুরু মাওবাদীদের আনাগোনা, সামাল দিতে জনসংযোগ শিবিরের আয়োজন


নিজস্ব সংবাদদাতা, পুরুলিয়া: একদা মাও অধ্যুষিত পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান থানার প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের সাথে জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করলো পুলিশ। পুরুলিয়া জেলা পুলিশের উদ্যোগে ও বান্দোয়ান থানার পরিচালনায় বিনামূল্যে স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা শিবিরের আয়জন করা হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, বান্দোয়ানের একটি লজে জামশেদপুরের একটি বিখ্যাত বেসরকারি হাসপাতালের সহযোগিতায় এই চিকিৎসা শিবিরের আয়োজন করা হয়।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

চক্ষু পরীক্ষার পাশাপাশি সুগার, প্রেসার, হার্ট, গাইনো, ক্যান্সার স্ক্যান ছাড়াও দাঁতের চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয় এই শিবিরে বলে জানা গেছে। বান্দোয়ান থানার কুচিয়া, দুয়ারসিনি, দুলুকডি, রাজোগ্রাম সহ ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া থরকাদহ গ্রামের বহু মানুষ এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেন। জামশেদপুরের ওই বেসরকারী হাসপাতালের প্রখ্যাত চিকিৎসকরা এই শিবিরে এসে মানুষের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা পরীক্ষা করেন।

কম খরচে যাতে গরীব মানুষ ওই হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারেন তার ব্যাবস্থা থাকায় সুবিধা পাওয়া গ্রামবাসীরা অত্যন্ত খুশি। ওই শিবিরে বিনামূল্যে ওষুধও দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। বান্দোয়ান থানার উদ্যোগে এই চিকিৎসা শিবিরে চিকিৎসা করাতে আসা সমস্ত মানুষের দুপুরের খাবারেরও ব্যাবস্থা করা হয়। একই ছাতার তলায় সমস্ত ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা, ঔষধ এবং কম খরচে ওই হাসপাতলে গিয়ে চিকিৎসা করানোর ব্যাবস্থা থাকায় খুশি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা মানুষগুলি।

আজকের স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়া জেলা পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া, মানবাজার মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজল আদরার, বান্দোয়ান ব্লকের বিডিও শুভঙ্কর দাস, বান্দোয়ান থানার ওসি তাপস দত্ত সহ আরও অনেকে। পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া বলেন, ব্রম্ভানন্দ নারায়ণ হাসপাতালের সাথে টাই-আপ করে এই চিকিৎসা শিবির করা হয়েছে, প্রত্যেকটি বিভাগের চিকিৎসকেরা রয়েছেন। গ্রামের মানুষ যাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত থাকেন তাঁদের জন্যই এই ব্যবস্থা। আগামীদিনে এই শিবির আরো প্রত্যন্ত গ্রামে করার ব্যবস্থা করা হবে। এ ধরণের শিবিরের মূল উদ্দেশ্যই হল প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তাঁদের সাথে যোগাযোগ তৈরি করা।

তবে শুধু বান্দোয়ানেই নয় আজ থেকে আগামী ১০ ই আগস্ট পর্যন্ত মাও অধ্যুষিত বলরামপুর থানার ঘাটবেড়া-কেরোয়া, বেড়শা, বাগমুন্ডি থানার অযোধ্যা পাহাড়ের উপর উসুলডুঙরি, জিলিংসেরেঙ, ধসকা এবং কোটশিলা থানার দুর্গম এলাকা কাঁড়িয়র, মামুনডি, গুড়িডিতেও জনসংযোগ কর্মসূচি চালাবে পুলিশ বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের কথায়, এই ধরনের শিবিরের উদ্দেশ্য একটাই – পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড বা ছত্তিশগড়ে বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠছে মাওবাদীরা। একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন এই সব দুর্গম গ্রামেও অচেনা লোকের যাতায়াত শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীদের দুঃখ দুর্দশার সুযোগকে হাতিয়ার করে যাতে মাওবাদীরা আবার নতুন করে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে তার জন্যই এই জনসংযোগ কর্মসুচি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!