প্রাণ যেতে পারে যে কোনো মুহূর্তে বলেই কি শাসকদলের নেতারা এখন একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছেন না! অনুব্রতর কর্মীসভা ঘিরে জল্পনা! মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য February 22, 2019 অনুব্রত মণ্ডলের সভাপতিত্বে তৃণমূলের দলীয় কর্মীসভা সম্পন্ন হল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে বজায় রেখেই। সভার আগে জেলাপুলিশের পাশাপাশি অনুব্রতর দেহরক্ষীরা মেটাল এবং বম ডিটেক্টর দিয়ে সভাস্থল দফায় দফায় পরীক্ষা করে দেখেন। মাসকয়েক আগেও অনুব্রতবাবুর সুরক্ষার জন্যে মহিলা নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছিল। এবার আরো একধাপ এগিয়ে বম ডিটেক্টর ব্যবহার করা হল। এখন থেকেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির সব সভার আগেই এরকম ভাবে তল্লাশি করা হবে বলেই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রের খবরে। হঠাৎ করে কেন দলীয় কর্মীসভাতেই অনুব্রতবাবুর জন্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার পদক্ষেপ নিল প্রশাসন? তবে কী অনুব্রতবাবু দলীয় কর্মীদের মধ্যেও সুরক্ষিত নন? এই প্রশ্নকে ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে সরস্বতী পুজোর রাতে প্রকাশ্য জনসভায় খুন হয়েছিলেন নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুন করে চম্পট দেয় আততায়ীরা। এরপর থেকেই আতঙ্ক ছড়ায় শাসকশিবিরে। সেই আতঙ্ক আরো বাড়ে বুধবার কাটোয়ার হেভিওয়েট তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের উপর প্রাণঘাতী হামলার জেরে। যদিও সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যাকাণ্ডের পর বিধায়কের সুরক্ষার জন্যে দেহরক্ষী বাড়িয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তারপরও রবীন্দ্রনাথবাবুর উপর হামলার ঘটনায় রাতের ঘুম উড়ে যায় শাসকদলের কাউন্সিলর-বিধায়কদের। তাই শাসকদলের উপর এধরণের হামলা এড়াতে তৃণমূলের সভার আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। লোকসভা ভোটের আগে আরেকটা সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যাকাণ্ড চায় না শাসকদল। তাছাড়া প্রায় প্রতিটি হামলার ঘটনাতেই অভিযোগের আঙুল উঠছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের উপর। তারপর থেকেই প্রশাসনের নির্দেশে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলেই অভিমত বিশেষজ্ঞদের। বীরভূমের নলহাটি ১ নম্বর ব্লকে তৃণমূলের বুথ কর্মীসভা ছিল এদিন। সেখানেই কর্মীদের সঙ্গে লোকসভা ভোট বিষয়ে আলোচনা করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অনুব্রত বাবু বলেন, “দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বললে যদি বিরোধীদের লাভ হয় তো বলুন, আমি স্বীকার করছি বীরভূমে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আছে। কিন্তু আদতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।” তবে সভায় বেশ কিছু আসনে গত নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ের কারণ হিসাবে বেশ কয়েকজন বুথকর্মী গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বললে অনুব্রতবাবু ধমকের সুরে তাঁদের জেলে পাঠানোর কড়া হুঁসিয়ারী দেন। এবং আসন্ন লোকসভা ভোটে রেকর্ড পরিমান ভোটের লিড দাবী করেন বুথকর্মীদের কাছে। তবে, দলের কর্মীসভাতেই এই ধরনের কড়া তল্লাশি ঘিরে বিরোধীদের মধ্যে গুঞ্জন তাহলে কি শাসকদলের নেতারাও এখন একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারছেন না! আপনার মতামত জানান -