এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দু এখনও তৃণমূলে আছে দল ছাড়ুক তারপর বলব। দাবি ব্রাত্যর

শুভেন্দু এখনও তৃণমূলে আছে দল ছাড়ুক তারপর বলব। দাবি ব্রাত্যর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যজুড়ে এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে শুভেন্দু অধিকারী বনাম তৃণমূল শিবির। আজকে হলদিয়ার সভা থেকে ব্যাপকভাবে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তৃণমূল শিবির থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এই মুহূর্তে কোনই মতামত দেওয়া হচ্ছেনা। কারণ শুভেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের বিধায়ক পদে রয়েছেন। শুরু থেকেই শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দিলেও বিধায়ক পদ কিন্তু এখনও ছাড়েনি। একই সাথে দলের প্রাথমিক সদস্য হিসেবেও শুভেন্দু রয়ে গিয়েছেন। এই অবস্থায় শুভেন্দু বারংবার তৃণমূলকে যেভাবে আক্রমণ করে চলেছেন, তা কিন্তু যথেষ্ট অস্বস্তিজনক একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে তৃণমূল নেতা নেত্রীরা শুভেন্দু অধিকারীকে এই মুহূর্তে আলোচনার অংশ হিসেবে কোনরকম গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল নেতা ব্রাত্য বসু। তিনি বাংলার প্রকল্পের সঙ্গে কেন্দ্রীয় কৃষি প্রকল্পের তুলনা করেন এবং প্রমাণ করেন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে যে কেন্দ্রীয় অধীনে যেসব কৃষকরা রয়েছেন, তাঁরা প্রকৃত অর্থেই ক্ষতির মুখ দেখছেন। কারণ কেন্দ্র প্রতি একর জমিতে কৃষকদের 1224 টাকা করে দেয় মাত্র। সেক্ষেত্রে বাংলায় এক একর জমিতে রাজ্য সরকার কৃষকদের 5000 টাকা দেয়। এক্ষেত্রে কৃষকদের আয় বৃদ্ধিতে শীর্ষে রয়েছে বাংলা বলে দাবি করেন ব্রাত্য বসু।

তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, দীর্ঘ 10 বছর সময় লেগেছে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট কার্ড তৈরি করতে। পাশাপাশি গেরুয়া শিবিরকে নিশানায় রেখে ব্রাত্য বসু এদিন অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা তাঁদের কর্মীদের মৃত্যুর বিনিময়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। কথায় কথায় বিজেপি কুৎসা ছড়াচ্ছে, রাজ্যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে। অন্যদিকে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরভোটের জন্য দলকে তৈরি থাকার ইঙ্গিত দিলেন এদিন ব্রাত্য বসু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে ব্রাত্য বসু সাংবাদিকদের সামনে জানান, যেসব বিজেপি কর্মীরা বিজেপিতে গুরুত্ব পাচ্ছেন না তাঁদের দিকে তৃণমূল ভালোবাসার হাত বাড়াবে। কিন্তু এর পরেই সাংবাদিকদের তরফ থেকে ব্রাত্য বসুকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, শুভেন্দু অধিকারীর আগামী পদক্ষেপ কি হতে চলেছে তাই নিয়ে। তখন ব্রাত্য বসু সোজাসুজি উত্তর দিতে অস্বীকার করেন। ব্রাত্য বসু পরিষ্কার জানান, শুভেন্দু এখনও পর্যন্ত দলে রয়েছেন তাই তার সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবেনা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে যে অবস্থান নিয়েছেন তাতে পরিষ্কার তিনি তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়েছেন এবং দল যে ছাড়বেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত সবাই। কিন্তু যেহেতু তিনি বিধায়ক পদ ছাড়েননি, তাই তৃণমূল শিবিরের কেউ তাঁকে নিয়ে কোন মন্তব্য যেরকম করছেন না, সেরকমই তাঁকে গুরুত্ব দিতেও রাজি নন। তবে শুভেন্দু অধিকারীর পাশাপাশি তৃণমূলের আরো বেশ কয়েকজন নেতা বিদ্রোহ শুরু করেছেন, আর তা তৃণমূল শিবিরে যথেষ্ট অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের জন ছিলেন। সেই শুভেন্দু যখন এইভাবে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করল তা তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত ধাক্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীকে ধরে রাখার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হলেও শুভেন্দু অধিকারী যে দলে থেকে কাজ করতে রাজি নন সে কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আর তারপরেই তৃণমূল শিবির থেকে শুভেন্দুকে বাদ রেখেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

 

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!