এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যাঁদের দিয়ে শুভেন্দুকে আটকাতে চেয়েছিলেন মমতা, তাঁদের গড়ে ঢুকেই এবার শক্তি প্রদর্শন শুভেন্দুর

যাঁদের দিয়ে শুভেন্দুকে আটকাতে চেয়েছিলেন মমতা, তাঁদের গড়ে ঢুকেই এবার শক্তি প্রদর্শন শুভেন্দুর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তার সঙ্গে দলের দূরত্ব তৈরি হওয়া নিয়ে বর্তমানে ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে গোটা বাংলা জুড়ে। যে নন্দীগ্রাম দিবসে প্রতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি থাকে, সেই নন্দীগ্রাম দিবসে এবার পৃথকভাবে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ডাকে অরাজনৈতিক আঙ্গিকে উপস্থিত হয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে উপস্থিত হয়ে তিনি এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা নিঃসন্দেহে ইঙ্গিতবাহী বলেই দাবি করতে শুরু করেছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

তবে নন্দীগ্রাম দিবসে শুভেন্দু অধিকারী যখন পৃথকভাবে সভা করছেন, তখন পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এবার প্রথম সেখানে সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন পূর্ণেন্দু বসু থেকে শুরু করে দোলা সেন, এমনকি ফিরহাদ হাকিমের মত হেভিওয়েট মন্ত্রীরা। আর এই পরিস্থিতিতে সে পূর্ণেন্দু বসু থেকে শুরু করে দোলা সেন তার গড়ে সভা করে যাওয়ার কিছু দিন পেরোতে না পেরোতেই এবার সেই পূর্ণেন্দুবাবু এবং দোলাদেবীর এলাকায় এসে কালী পুজোর উদ্বোধন করে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।

যাকে কেন্দ্র করে নতুন ভাবে জল্পনা তৈরি হতে শুরু করেছে। তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী এই দোলা সেন এবং পূর্ণেন্দু বসুর খাসতালুকে কালী পুজোর উদ্বোধন করে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, গোটা রাজ্যে তার যথেষ্ট বিস্তৃতি রয়েছে! তৃণমূলের এই দুই নেতা নেত্রী শুভেন্দু অধিকারীর গড়ে গিয়ে কিছুদিন আগে “সবার ওপরে দল” বলে মন্তব্য করেছিলেন। যার পাল্টা কলকাতায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থিত না হলেও, কালী পুজোর উদ্বোধন করে কার্যত দলের সঙ্গে নিজের দূরত্বকে আরও দীর্ঘায়িত করে দিলেন শুভেন্দুবাবু বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

জানা গেছে, এদিন বাগুইহাটি জ্যাংড়ায় “আমরা সবাই ক্লাবের” কালীপুজোর উদ্বোধনে আসেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। আর শুভেন্দুবাবুর পুজো উদ্বোধনে ব্যাপক জমায়েত হতে দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে এই এলাকার উদ্বোধনে ডাক পাননি স্থানীয় বিধায়ক। মূলত এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক পূর্ণেন্দু বসু। শুধু তাই নয়, এই এলাকায় দোলা সেনেরও যথেষ্ট দাপট রয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে তাদের এলাকায় শুভেন্দু অধিকারী গিয়ে পুজো উদ্বোধন করলেও, সেই ক্লাবের তরফে তৃণমূলের অন্যান্য হেভিওয়েট নেতা আমন্ত্রণ না পাওয়ায় তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তাহলে কি এই ক্লাবের কালীপুজো উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে শুভেন্দুবাবু বার্তা দিতে চাইলেন যে, গোটা রাজ্যে তার যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে! সুতরাং তার গড়ে গিয়ে কিছুদিন আগে পূর্ণেন্দু বসু এবং দোলা সেন যতই হম্বিতম্বি করুক না কেন, তিনিও তাদের গড়ে এসে এবার কার্যত কালীপুজো উদ্বোধন করে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা নেত্রীদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কালীপুজোয় শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিতি নতুন করে তৃণমূলের অন্দরে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। কেননা শুভেন্দুবাবু এদিন কলকাতায় এই কালীপুজোর উদ্বোধনে উপস্থিত থাকলেও, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। স্বাভাবিক ভাবেই তিনি কি তাহলে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে ক্রমাগত তার গড়ে গিয়ে চ্যালেঞ্জ জানানো নেতাদের গড়ে এসে পাল্টা তাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে গেলেন! তাহলে কি শুভেন্দুবাবুর এই সমস্ত আচরণ ভবিষ্যতের জন্য বড়সড় ইঙ্গিত বহন করছে? তিনি কি প্রস্তুত দলবদলের মতো সিদ্ধান্ত নিতে!

আর তাই মেদিনীপুরের বাইরে বেরিয়ে এসে এখন বিভিন্ন জেলায় গিয়ে নানা কর্মসূচিতে যোগ দিতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের এই হেভিওয়েট নেতাকে? এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। যেভাবে দোলা সেন এবং পূর্ণেন্দু বসুর খাসতালুকে এসে কালী পুজোর উদ্বোধন করে শুভেন্দু অধিকারী নয়া সমীকরণের সৃষ্টি করলেন, তাতে তার সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের যে দূরত্ব আরও বৃদ্ধি পেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে উইকেটে পড়ে না থেকে এবার ব্যাট ঘোরানো শুরু করে দিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!