ঝাঁটা দিয়ে বিজেপিকে তাড়ানোর নিদান, বিতর্কে তৃনমূল সাংসদ! কলকাতা তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য February 4, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই বিতর্কিত মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের। জনপ্রতিনিধিদের মুখ থেকে প্রতিনিয়ত বের হতে শুরু করেছে অশালীন মন্তব্য। যার ফলে খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন তারা। রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা নেত্রীরা নিজেদের দলের হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে নেতাকর্মীদের মুখে লাগাম লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু তার পরেও যে অবস্থান কোনোক্রমে উন্নতি হচ্ছে না, তা ফের স্পষ্ট হয়ে গেল। এবার বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে ঝাঁটাপেটা করার নিদান দিতে দেখা গেল বারাসতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে। যে ঘটনা ক্রমশ আলোড়ন ফেলে দিয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। সূত্রের খবর, বুধবার কালনার নতুন বাসস্ট্যান্ডে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। যেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ করতে গিয়ে রিতীমত বিজেপির কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এলে দলের মহিলা এবং বঙ্গজননীর মেয়েরা তাদের ঝাঁটাপেটা করবে বলে মন্তব্য করতে দেখা যায় এই হেভিওয়েট তৃণমূল নেত্রীকে। স্বাভাবিক ভাবেই পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে যখন বিরোধীরা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছে শাসকদলের বিরুদ্ধে, যখন শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদের মুখ থেকে এই ধরনের মন্তব্য যে সেই তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়িয়ে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা যে ময়দানে নেমে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, কিছুদিন আগেই কোর কমিটির বৈঠকে দলের কোনো নেতা যাতে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম না করেন, তার জন্য সকলকে সাবধান বাণী দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে দলীয় নেতারা বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়ে অতীতে বারবার বেলাগাম মন্তব্য করেছেন। যার ফল ভোগ করতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরকে। তাই সামনের দিনে লড়াই যখন কঠিন, তখন বেফাঁস মন্তব্যের জন্য যাতে কোনোভাবেই অস্বস্তিতে না পড়ে, তার জন্য সকলকে সতর্ক করে দেন তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু তারপরেও যে দলের নেতা-নেত্রীরা বিন্দুমাত্র সচেতন হননি, তা কাকলি ঘোষ দস্তিদারের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল। যেখানে গণতন্ত্রকে ভূলুণ্ঠিত করে তৃণমূলের এই সাংসদ দলের মহিলা সংগঠনকে সন্ত্রাসের শিক্ষা দিলেন বলেই দাবি করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -