এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > “শুভেন্দু অধিকারীর স্মৃতিভ্রংশ হয়েছে”; বিস্ফোরক অখিল গিরি

“শুভেন্দু অধিকারীর স্মৃতিভ্রংশ হয়েছে”; বিস্ফোরক অখিল গিরি

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যেখানে সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীকে দলে রাখার জন্য প্রচেষ্টা চালাতে দেখা গেছে সৌগত রায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে, সেখানে আবারো বিস্ফোরক মন্তব্য করে দলের মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছেন অখিল গিরি। বস্তুত, এটা নতুন নয় এর আগে ফিরহাদ হাকিম বা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কেও শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ করতে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে চরম উত্তাল হয়েছিল রাজ্য রাজনীতি।

কিছুদিন আগেই নাম না করে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে গাছের তলায় বড় হয়েছিস। ৪টে মন্ত্রিত্ব পেয়েছিস, ৪ খানা চেয়ারে আছিস। কত পেট্রোল পাম্প করেছিস! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে মিউনিসিপ্যালিটিতে আলু বিক্রি করতিস রে, আলু বিক্রি করতিস।”

বস্তুত, একজন মন্ত্রীকে জনসমক্ষে কি বলতে হয় সেটা তাঁর জানা উচিত বলেই পাল্টা কটাক্ষ করেছিলেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তবে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন শুভেন্দু অধিকারীও। কিছুদিন আগেই রামনগরের বন্ধুমহল ক্লাবের কালীপুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হাজির থাকতে দেখা যায়নি অখিল গিরিকে। আর সেখানে পৌঁছে শুভেন্দু অধিকারী তাঁকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষ করেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তাঁকে বলতে শোনা যায়, “‌কেউ কেউ আবার আসতে পারেন না; তাঁদের অনেক সমস্যা। তাঁরাও আমার খুব পরিচিত। তাঁদেরও উপকারে; অনেক সময় লেগেছি।” তাঁর কথায়, “নন্দীগ্রাম আন্দোলনের পরে, বিশেষ করে ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে; অনেক বাহাদুরদের আর দেখা যায়নি। এখন ফেসবুকে সব; গা’লাগালি করে আমাকে। দরকারের সময় আমার প্রয়োজন ছিল। সব গুছিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছে; এখন আর কেউ আসে না।”

তবে রণে ভঙ্গ দিতে রাজি হননি অখিল গিরি। শুভেন্দু অধিকারীর এই কথার পর, তাঁকে পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারীর স্মৃতিভ্রংশ হয়েছে। ও বড় বড় কথা বলছে। চোরের মায়ের বড় গলা। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছিল। ২০০৬ সালে আমি, নির্বাচনে হেরে যাই। কিন্তু হেরে যাওয়ার ৭ দিন পর থেকে, রামনগরে পড়েছিলাম, ছিলাম আমি। তাই পরে জিতেছি। আমার মনে হয় ও স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলেছে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, দেখতে গেলে একের পর এক তৃণমূল নেতা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করছেন। আর তাতেই তাঁদের সন্দেহ হয়েছে এই কাজ করার জন্য দলীয় স্তরে কোন নির্দেশ আছে কিনা। কারণ যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে দলে রেখে দেওয়ার জন্য শাসকদলের তরফ থেকে সম্প্রতি প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে, সেখানে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বা অখিল গিরির এহেন আক্রমণ সেই প্রক্রিয়াকে যথেষ্ট বাধা দেবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!