এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক নই! রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন করে ঝড় তুললেন শুভেন্দু অধিকারী

নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক নই! রাজ্য-রাজনীতিতে নতুন করে ঝড় তুললেন শুভেন্দু অধিকারী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কয়েক মাস ধরে দলের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে। তিনি বিভিন্ন সভা, সমিতিতে উপস্থিত হচ্ছেন। কিন্তু কোথাও তৃণমূল কংগ্রেস বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিতে দেখা যাচ্ছিল না তাকে। শুধু তাই নয়, মন্ত্রীসভার বৈঠক হলেও গুরুত্বপূর্ণ একাধিক দপ্তরের মন্ত্রী থাকা শুভেন্দু অধিকারী সেখানেও গরহাজির ছিলেন। যার ফলে তাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছিল।

অনেকেই দাবি করেছিলেন, দলে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা না পাওয়ার কারণে এবার দলবদলের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। আর গোটা রাজ্য জুড়ে যখন এই প্রশ্ন ক্রমশ মাথাচাড়া দিতে শুরু করে, তখন 19 নভেম্বর তিনি রামনগরের সভা থেকে অনেক কিছু বলবেন বলে জানিয়ে দেন। যার ফলে রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ ব্যাপক আশায় প্রহর গুনতে শুরু করেছিল।

অবশেষে রামনগরের সভায় উপস্থিত হয়ে তাকে নিয়ে যে দলবদলের জল্পনা চলছে, তাতে জল ঢেলে দিলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। তবে তার বেশ কিছু মন্তব্যকে নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যেখানে তিনি যেমন দল এবং নেত্রীর প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছেন, ঠিক তেমনই জানিয়ে দিয়েছেন, নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক তিনি নন। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের একাংশ নেত্রী এবং দলের প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর আনুগত্য প্রকাশ করা দেখে নিশ্চিন্ত হলেও, তার আর একটি মন্তব্য নিয়ে চর্চা শুরু করেছে বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, এদিন নিজের দলবদলের জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাকে তাড়িয়ে দেননি, আমিও ছেড়ে যাইনি।” আর এর পরেই তার মুখ থেকে শোনা গেছে আর একটি মন্তব্য। যেখানে তিনি বলেন, “আমি যে পদগুলোতে আছি, সবগুলোই নির্বাচিত। মনোনীত নয়। আমি যা করছি, তা পেশা নয়, নেশা। নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করার লোক আমি নই।” স্বাভাবিক ভাবেই এতদিন দলবদলের জল্পনায় একদম শিরোনামে থাকা শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে ব্যাপক চর্চা চললেও, এদিনের মন্তব্যের পর তা কিছুটা হলেও স্তব্ধ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

কেননা শুভেন্দুবাবু স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, দল এবং নেত্রীর প্রতি নিজের আনুগত্যের কথা। তবে তৃণমূলের সঙ্গে তার যে সমস্ত বিষয় নিয়ে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, সেই সমস্ত বিষয় যদি না মেটে, তাহলে তিনি ভবিষ্যতে আবার বিদ্রোহ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী নিজের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে কাজ করবেন না।

স্বভাবতই এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে যে তৃণমূলের একাংশকে কার্যত নিজের অবস্থান সম্পর্কে বার্তা দিতে চেয়েছেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী, তা একপ্রকার স্পষ্ট বিশেষজ্ঞদের কাছে। অনেকে বলছেন, তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল হওয়ার পর তাকে গুরুত্বপূর্ণ পদ না দেওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীর। বিভিন্ন অরাজনৈতিক সভায় উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছিল তাকে। কিন্তু কোনোভাবেই দল কিংবা নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছিল না তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাকে।

যাকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছিল। আর এমত পরিস্থিতিতে এবার সেই শুভেন্দু অধিকারী রামনগরের সভায় উপস্থিত হয়ে তৃণমূলের জন্য স্বস্তিকর মন্তব্য করলেও, বেশ কিছু মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। যেভাবে তিনি নীতি ও আদর্শের কথা বললেন, তাতে তার এই মন্তব্য যে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তা দেওয়ার জন্যই, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। সব মিলিয়ে গোটা বিষয়টি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!