এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মানুষকে গিনিপিগ বানাবেন না! লকডাউনের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে বড়সড় পরামর্শ সুজন চক্রবর্তীর

মানুষকে গিনিপিগ বানাবেন না! লকডাউনের রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীকে বড়সড় পরামর্শ সুজন চক্রবর্তীর


করোনা ভাইরাসকে আটকাতে একমাত্র উপায় হচ্ছে লকডাউন। সামাজিক দূরত্বকে মান্যতা দিয়ে ভারতবর্ষে এই ভাইরাসের দাপট শুরু হওয়ার আগেই সেই লকডাউনের রাস্তা বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউনের কথা ঘোষণা করার কিছুদিন আগেই প্রথম লকডাউন ঘোষণা করে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠেছে যে, রাজ্যের অনেক জায়গাতেই ঠিকমত লকডাউন পালন হচ্ছে না।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তবে ধীরে ধীরে এই লকডাউন শিথিল করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। বেশকিছু ক্ষেত্র খুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। আর এই পরিস্থিতিতে সেই লকডাউন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।

সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “যদি লকডাউনে না খেতে পেয়ে মানুষের মৃত্যু হয়, কিংবা রাস্তায় মানুষের মৃত্যু হয়, কিংবা চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া না যায়, তাহলে সেই লকডাউনে মানুষের কোনো উপকার হবে না। চারপাশে যা দেখছেন, তাতে কি আদৌ মনে হচ্ছে লকডাউন আছে!” আর এরপরই লকডাউন কতটা বাড়ানো দরকার, তা বিশেষজ্ঞরা ঠিক করুন বলেও জানিয়ে দেন সুজন চক্রবর্তী।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এদিন একটি দাবিও করেন রাজ্যের বাম পরিষদীয় দলনেতা। তিনি বলেন, “মানুষকে গিনিপিগ বানাবেন না। আগে প্রথমে বিধানসভা খুলুন। বিধানসভা খুলে মুখ্যমন্ত্রী প্রমান করুন, সব কিছু খোলা সম্ভব। তারপর মানুষকে ঠেলা উচিত।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও, লকডাউনকে কিছুটা শিথিল করে দিয়ে সরকার বোঝাতে চাইছে যে, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

কিন্তু এমতাবস্থায় রাজ্যের গণতন্ত্রের পীঠস্থান বিধানসভাকে খোলার কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে, তা প্রমাণ করতে মুখ্যমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন সুজন চক্রবর্তী বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এমনিতেই করোনা পরিস্থিতি যেভাবে ধীরে ধীরে কঠিন হচ্ছে বাংলায়, তাতে সাধারণ মানুষের গুম উড়ে যাচ্ছে। আর এরপর আনলক-১ পর্ব শুরু হতেই তা আরও কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই, এই পরিস্থিতে মানুষের কথা চিন্তা করেই আগে বিধায়করা পথ দেখান – এই বার্তায় দিতে চাইলেন সুজনবাবু বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!