প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু মামলায় কিছুদিন আগেই রিয়া চক্রবর্তী নাকি জেরার মুখে বলিউডের বেশ কয়েকজন নারী তারকার তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন বলে জানা যায়। সেই তালিকায় উঠে আসে দীপিকা পাড়ুকোন, শ্রদ্ধা কাপুর, সারা আলি খানের মত প্রথম সারির তারকাদের নাম। অন্যদিকে সারা আলি খান, শ্রদ্ধা কাপুর এবং দীপিকা পাডুকোনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সমন পাঠানো হয়।

জানা গেছে, শনিবার সেই সমনে হাজিরা দেওয়ায় টানা ছ’ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় দীপিকা পাডুকোনকে। সারা আলি খান ও শ্রদ্ধা কাপুরকে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে একদিকে যেমন দীপিকা নিজের ম্যানেজার করিশ্মা প্রকাশ্যের সঙ্গে ‘ড্রাগ চ্যাট’-এর কথা স্বীকার করেন নিয়েছেন, অন্যদিকে সারা এবং শ্রদ্ধার নামেও একাধিক স্বীকারোক্তির কথা জানা গেছে। ‘কেদারনাথ’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় সুশান্তের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়েছিল, তা নাকি স্বীকারও করে নিয়েছেন সইফ কন্যা। সেইসঙ্গে সুশান্তের সঙ্গে থাইল্যান্ড বেড়াতে যাওয়ার কথাও স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে মাদকের ব্যাপারে ধূমপানের কথা মেলে নিলেও মাদক নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, শ্রদ্ধা কাপুর নাকি শারীরিক অসুস্থতার জন্য CBD অয়েল ওষুধ হিসেবে নিতেন বলেও দাবি করেন।

তবে এদের মধ্যে থেকে সবচেয়ে সাড়া পড়ে সারা আলি খানের বক্তব্য নিয়ে। শোনা যায়, ২০১৮ সালে কেদারনাথ ছবির শুটিংয়ের সময় থেকেই তাঁর ও সুশান্তের মধ‍্যে নাকি সম্পর্কের সূত্রপাত হয়। ছবির শুটিং শেষ হওয়ার পর তিনি সুশান্তের সঙ্গে ওর কেপ্রি হাউসের বাড়িতে থাকতেও যান। শুধু তাই নয়, এরপর তাঁরা ৫ দিনের জন‍্য থাইল‍্যান্ডের একটি দ্বীপেও ঘুরতে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তিনি। সেখানে পার্টিও করেন তাঁরা। আর সেখানেই নাকি সুশান্তকে মাদক সেবন করতে দেখেন তিনি। তবে নিজের মাদক নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন সারা। অপরদিকে জেরায় শ্রদ্ধাও জানান ছিছোঁড়ের পর একটি পার্টিতে সুশান্ত সিং রাজপুতের সঙ্গে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানে কোনোরকম মাদক সেবন করতে দেখা যায়নি অভিনেতাকে। তবে তিনি নাকি শুটিং সেটে বা নিজের ভ‍্যানিটি ভ‍্যানে বসে মাদক সেবন করতে দেখেছেন সুশান্তকে।

তবে এবার এই ব্যাপারে মুখ খুলতে শোনা গেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের বন্ধু যুবরাজ সিংকে। একটি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সারা বা শ্রদ্ধা তো এখন সুশান্তকে মাদক সেবন করতেন বলেই ফাঁসাবেন। কারণ নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করতে গেলে সেটাই করতে হবে। তাই যেন নিজেরা কিছু করেনি, সেটাই দেখাবে। ফলে সব দোষ সুশান্তের ঘাড়ে চাপানো হবে সেটাই হাস্যকর। তাঁর বক্তব্য, এটা করার কারণ, শ্রদ্ধা বা সারা জানেন এটা মামলার পর্যায়ে চলে গিয়েছে। ওরা যদি মাদক পাচার বা কোনোকিছু স্বীকার করে ফেলেন তাহলে NDPS আইনের আওতায় ফেঁসে যাবেন ওরা। তাই এমনটা করছেন।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সারা ও শ্রদ্ধা উভয়ের মোবাইল ফোনই এখন NCBর হেফাজতে আছে হে জানা গেছে। NCBর ডেপুটি ডিরেক্টর সূত্রে জানা গেছে এখনই ফের ওই দুই অভিনেত্রীকে ডাকার প্রয়োজন হবে না। দুজনেরই বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। সেই বয়ান আদালতে পেশ করা হবে। তারপর আগামী পদক্ষেপের কথা ভাবা হবে। তবে এরই মাঝে অভিনেতার বন্ধুর এহেন মন্তব্য নতুন করে কোনো জল্পনা সৃষ্টি করবে কিনা, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।