প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সামনেই 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন। বিজেপিকে যদি রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে হয়, তাহলে তৃণমূলের ঘর ভাঙতেই হবে। তাই বর্তমানে সেই কাজেই দিকেই প্রধানভাবে নজর দিতে দেখা যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টিকে। যেখানে তৃণমূলকে দিয়েই তৃণমূল শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছে গেরুয়া শিবির। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে মুকুল রায় তৃণমূলের ঘর ভেঙে ভারতীয় জনতা পার্টিকে 18 টি আসন তুলে দিয়েছিলেন। আর এবার প্রধান টার্গেট রাজ্যের ক্ষমতা দখল করা। কিন্তু বিজেপিতে তেমন কোনো গ্রহণযোগ্য মুখ নেই, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে সক্ষম হবেন। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি চেষ্টা করছে, তৃণমূলের এমন কাউকে নিজেদের দিকে আনতে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, সেক্ষেত্রে বিজেপির তুরুপের তাস হতে পারেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তথা দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক জল্পনা শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পদ না পাওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করেছেন বলে দাবি করছেন। অনেকে আবার বলছেন, বিভিন্ন জায়গায় শুভেন্দুবাবু নিজের অনুগামীদের দিয়ে পোস্টার টাঙাতে শুরু করেছেন। যার ফলে তিনি তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে বার্তা দিচ্ছেন যে, তৃণমূল যদি তাকে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা না দেয়, তাহলে তিনি বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অনেকের ধারণা, শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেবেন।

আবার অনেকে বলছেন, তিনি নতুন করে বিজেপিকে সমর্থন করতে পারবেন। তবে কি করবেন শুভেন্দু অধিকারী, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দুবাবুকে যদি নিজেদের দিকে আনা যায়, তাহলে বিজেপি যে অনেকটাই লাভবান হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কেননা রাজ্যের কমবেশি প্রতিটা জেলা থেকেই শুভেন্দু অধিকারী অনেক জনপ্রতিনিধি এবং হেভিওয়েট নেতা কর্মী রয়েছেন। সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারী যদি বিজেপিতে যোগদান করেন, তাহলে তারাও গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন। যা আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের ঘুম উড়িয়ে দেবেই বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষ সূত্র মারফত খবর, মুকুল রায় এবং দিলীপ ঘোষ এখন চেষ্টা করছেন সেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিজেদের দিকে আনার। কেননা শুভেন্দু অধিকারীকে যদি বিজেপি নিজেদের দলে যোগদান করাতে পারে, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে যাবে। কেননা তৃণমূলের মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পর শুভেন্দু অধিকারীর জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি বলে মনে করে রাজনৈতিক মহল। তাই এহেন হেভিওয়েট মন্ত্রী তথা দক্ষ সাংগঠনিক মুখকে যদি বিজেপি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিজেদের কাজে লাগাতে পারে, তাহলে তা বাংলার মানুষের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে। আর সেই কাজে যাতে ভারতীয় জনতা পার্টি সাফল পায়, তার জন্য এখন বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য তার কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে খবর। সব মিলিয়ে এবার শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে বিজেপির টার্গেট কতটা পূরণ হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।