এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে বড় দায়িত্ব বিজেপির, আরও চাপ বাড়ল মমতার!

শুভেন্দুকে বড় দায়িত্ব বিজেপির, আরও চাপ বাড়ল মমতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দুর্যোগ নিয়ে যখন জেরবার রাজ্য, যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য নেতাদের আমন্ত্রণ জানানোকে কেন্দ্র করে আপত্তি তৈরি হয়েছে, ঠিক তখনই শুভেন্দু অধিকারীকে বড় দায়িত্ব দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। বস্তুত, রাজ্যে বিজেপি বিরোধী আসন দখল করার পরেই তাদের বিরোধী দলনেতা কে হবে, তা নিয়ে গুঞ্জন তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত বিজেপির বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, শুভেন্দু অধিকারীই হবেন তাদের দলনেতা।

তবে সেক্ষেত্রে সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত কোনো খবর নেই। তাই এই পরিস্থিতিতে দুর্যোগের পরবর্তী সময় যখন প্রধানমন্ত্রী রাজ্যে আসছেন, ঠিক তখনই অন্যান্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং রাজ্যপালের পাশাপাশি সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে যেতে আপত্তি পোষণ করেছেন। কারণ তিনি সেখানে শুভেন্দু অধিকারী থাকাতে আপত্তি জানিয়েছেন।

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে শুধুমাত্র বিজেপি বিধায়ক। সেভাবে সরকারিভাবে তিনি যে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন তেমন কোনো খবর নেই, তাই তাকে এই বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো মানে কোনো রাজনৈতিক প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ না থেকে বিদ্রোহ তৈরি করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করা হয়েছিল। আর এই পরিস্থিতিতে এবার নিজেদের বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর তারপরই শুভেন্দু অধিকারী কি সত্যিই তাহলে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে বিরোধী দলনেতা নয়, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। আর এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে বিজেপির পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাজ্য বিধানসভায় তাদের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

অর্থাৎ বিজেপি স্বীকৃতিপত্র দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারীর থাকা নিয়ে যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো আপত্তি করতে না পারেন, সেই চেষ্টাই করলো বলে মনে করা হচ্ছে কেনন বিরোধী দলনেতা না। ফলে শুভেন্দু অধিকারী শুধুমাত্র একজন বিজেপি বিধায়ক। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে তার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিতে পারে শাসকদল। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে প্রশ্ন আসার আগেই এই ব্যাপারে নিজেদের সিদ্ধান্ত জনসমক্ষে জানিয়ে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই গত বছরের শেষের দিকে তৃণমূলের মন্ত্রী এবং বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন এই শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তাকে বিজেপির পক্ষ থেকে টিকিট দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল নেত্রীকে পরাজিত করে সেই নন্দীগ্রামে জয়লাভ করেন শুভেন্দুবাবু। আর তারপর তাকে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিজেপি।

কিন্তু সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ না হওয়ার কারণে শুভেন্দু অধিকারীর প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে থাকা নিয়ে আপত্তি তুলতে শুরু করেছিল শাসক দল। তবে এই পরিস্থিতিতে যাতে এই বিষয়কে হাতিয়ার করে তৃণমূল সোচ্চার হতে না পারে, তার জন্য এবার পাল্টা কৌশল প্রয়োগ করল ভারতীয় জনতা পার্টি। যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হল, শুভেন্দু অধিকারীই তাদের বিরোধী দলনেতা। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও বিজেপির এই স্বীকৃতি দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল এই ইস্যুতে আর বেশি সোচ্চার হতে পারবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!