এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দু অধিকারীই কি বিধানসভা নির্বাচনে ঘাস-পদ্ম দুই শিবিরের কাছেই ‘প্রাণ ভোমরা’ হয়ে উঠছেন?

শুভেন্দু অধিকারীই কি বিধানসভা নির্বাচনে ঘাস-পদ্ম দুই শিবিরের কাছেই ‘প্রাণ ভোমরা’ হয়ে উঠছেন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট -শুভেন্দু অধিকারী- এই নামটি বর্তমানে বারবার যেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। তৃণমূল দলের এক দাপুটে যোদ্ধা একসময় ছিলেন শুভেন্দু বাবু। বর্তমানেও তিনি তৃণমূল সরকারের সেচমন্ত্রী ও পরিবহন মন্ত্রীর মতো দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলাচ্ছেন। তবে, সম্প্রতি তৃণমূল দলের বেশ কিছু সাংগঠনিক রদবদল ঘটায় দলের মধ্যে কিছুটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

মুর্শিদাবাদ সহ বেশ কিছু জেলা ইতিমধ্যেই হাতছাড়া হয়েছে তাঁর। তাই একসময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপ নেতা শুভেন্দু অধিকারী বর্তমানে যেন বেশ কিছুটা কোণঠাসা এমনটাই দাবী বেশ কিছু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞের। বর্তমানে তৃণমূল দলের মধ্যে যেন কিছুটা বিরাগভাজন হয়ে পড়েছেন তিনি আর সে কারণেই দলের সঙ্গে যেন তিনি কিছুটা দূরত্ব তৈরি করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন দিবসের অনুষ্ঠান যেমন হুল দিবস, নেতাই দিবস থেকে শুরু করে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পর্যন্ত সর্বত্রই যেন তিনি দল থেকে সেফ ডিসটেন্স বজায় রাখছেন । এর উপরে গতকাল স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে তমলুক শহর শুভেন্দু অধিকারীর ছবি আর হোর্ডিংয়ে ভরে গিয়েছিল। আর এই হোর্ডিং গুলিতে শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কিত একাধিক গুণকীর্তন ছিল।

যেমন – ‘বাংলার মুক্তি সূর্য’, ‘সংগ্রামের অপর নাম’, ‘উন্নয়নের কাণ্ডারি’, ‘জনগণমন নায়ক’, ‘আমাদের আদর্শ’, ‘দীনজনের ত্রাতা’, ‘মানবিকতার অপর নাম’ ইত্যাদি অনেকানেক বিশেষণে বিভূষিত করা হয়েছিল শুভেন্দু অধিকারীকে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে , এই হোর্ডিং গুলির কোথাও তৃণমূল দলের নাম এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পর্যন্ত ছিল না।

আর এই ব্যাপারটি নিয়ে উদ্বিগ্ন তৃণমূল দলের বেশ কিছু অংশ। রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে শুভেন্দু বাবুর সঙ্গে দলের এরকম দূরত্ব তার উপরে শুভেন্দু বাবুর এরকম অভিনব প্রচার কোনটিকেই বিশ্বাসের চোখে দেখছেন না দলের বহু নেতাকর্মী।

তৃণমূলের কিছু অংশ মনে করছেন আগামী ২০২১ এর নির্বাচনে শুভেন্দু অধিকারী একজন বিরাট বড় কান্ডারী হতে পারেন। তাই তৃণমূল দলের সঙ্গে তার সমস্ত দূরত্বের বরফ এখনই গলিয়ে ফেলা দরকার না হলে তা দলের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। আর মাঝখান থেকে তার সুবিধা পেতে পারে বিজেপি।

প্রসঙ্গত, তৃণমূল দলে মমতা ব্যানার্জির পর সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা যদি কেউ থেকে থাকেন তবে তিনি হলেন শুভেন্দু অধিকারী। এ কথা বিনাবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন
অনেকেই। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই শুভেন্দু বাবুর মত এত বিপুল বিপুল সংখ্যায় অনুগামী তথা সমার্থক শুভেন্দু বাবুর মতো বোধহয় আর কোন তৃণমূল নেতার নেই। তবে বিভিন্ন মহলে সম্প্রতি গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে যে, তিনি নাকি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতে চলেছেন।

তবে এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু বাবু বারবার বলেছেন যে, তিনি তৃণমূল দল ত্যাগ করছেন না বা বিজেপিতে যোগদানও করছেন না। তবু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু বাবু যে দলে থাকবেন সে দলই লাভবান হবে। কেননা যে দলে তিনি থাকবেন সে দলের মাটিকেই তিনি অনেকটা মজবুত করে দিতে পারবেন।

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বেশকিছু অনুগামীরা মনে করেন, তৃণমূল দলে তিনি যোগ্য সম্মান পাননি। তৃণমূল কংগ্রেসে তারা আরও বড় পাওয়া তাঁর উচিত ছিল। রাজ্য সভাপতি হওয়ার মত যথেষ্ট যোগ্যতা তাঁর অবশ্যই আছে। মুর্শিদাবাদ সহ বেশকিছু অনুর্বর জেলাতেও তিনি ঘাসফুল ফুটিয়েছেন বেশ দক্ষতার সঙ্গেই। তিনি যদি সন্তুষ্ট থাকতেন তবে, দলের আরও অনেক শ্রীবৃদ্ধি ঘটতে পারতো। যা তাঁর নিষ্ক্রিয়তার ফলে অধরা, এমনটাই তাঁর বেশকিছু অনুগামীর মতামত।

এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল দলের একাংশ মনে করেন এই অবস্থায় একমাত্র মুখ্যমন্ত্রীই পারেন শুভেন্দু অধিকারী সঙ্গে দলের সমস্ত রকম ব্যবধান ঘুচিয়ে দিয়ে তাঁকে পুনরায় সতেজ করে তুলতে। তবে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী বা তৃণমূল দল থেকে তাঁকে বিশেষ কোন বার্তা দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী দলের এই দাপুটে যোদ্ধাকে শুধু এটুকুই বলেছেন, “অনেক গুরুত্বপূর্ণ দফতর রয়েছে তোমার হাতে। মন্ত্রিত্বের কাজে মন দাও। সামনেই বড় লড়াই।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!