এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > স্বাধীনতা দিবসের পুন্য সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর

স্বাধীনতা দিবসের পুন্য সকালে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসের সকালে প্রথমে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে গিয়ে শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর লালকেল্লায় উত্তোলন করলেন জাতীয় পতাকা। এরপর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব দেশের কাছে নতুন উদ্দীপনার সঞ্চার করবে বলে, তিনি আশা প্রকাশ করছেন। জাতির উদ্দেশ্যে ভাষনের শুরুতেই তিনি চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশংসা করলেন।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, আমাদের দেশের চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিকেল কর্মী, সাফাই কর্মীরা করোনা মোকাবিলায় দিনরাত পরিশ্রম করে তাদের কর্তব্যনিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন। করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করতে বিজ্ঞানীরা নিরন্তর প্রয়াস চালিয়েছেন। কোটি কোটি দেশবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে যে কাজটা তাঁরা করেছেন, তার জন্য কোন প্রশংসাই যথেষ্ট হবে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

করোনা ভ্যাকসিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী জানালেন যে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভারতবাসী অসীম ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন। বহু চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতবাসীর সামনে। কিন্তু প্রতি ক্ষেত্রেই খুব ভালো কাজ করতে পেরেছেন দেশের মানুষ। দেশের শিল্পপতি ও বিজ্ঞানীদের ক্ষমতার ফলশ্রুতিতেই ভারতকে আজ ভ্যাকসিনের জন্য কোন দেশের উপর নির্ভর করার প্রয়োজন হচ্ছে না। ভারতবাসী গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন যে, বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাকরণ অভিযান এই দেশেই চলছে। ৫৪ কোটির বেশি মানুষ এখনো পর্যন্ত করোনার টিকা নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, ১৪ ই আগস্ট দিনটিকে বিভাজন বিভীষিকা দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশভাগের সময় দেশবাসীকে যন্ত্রণা ও দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। তাদের প্রতি সম্মান জানাতে এই দিনটিকে পালন করা হবে। অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করা অ্যাথলিটদের উজ্জীবিত করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, টোকিও অলিম্পিকে যারা দেশকে গর্বিত করেছেন তাঁরা এখানে রয়েছেন। তাঁদের সাফল্যকে সন্মান জানাতে দেশের মানুষের কাছে তিনি অনুরোধ জানাচ্ছেন। তাঁরা যে শুধু দেশবাসীর হৃদয় জয় করেছেন, তাই নয়, তাঁরা অনুপ্রাণিত করেছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকেও।

প্রধানমন্ত্রী জানালেন, প্রত্যেক দেশের উন্নয়নের যাত্রাপথে এমন একটা সময় আসে, যখন নিজেদের যাত্রার সংজ্ঞা নির্ধারণ করতে হয়, নতুন সংকল্পের সঙ্গে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয়। ভারতের উন্নয়নের যাত্রাপথে সেই সময় বারবার এসেছে। ভারতের লক্ষ্য পূরণে সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী জানালেন, কোন বড় পরিবর্তন, বড় সংস্কার আনার জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন হয়। আজ বিশ্ব দেখতে পাচ্ছে যে, ভারতের রাজনৈতিক সদিচ্ছার কোন অভাব নেই। সংস্কার আনতে ভালো ও স্মার্ট গভর্নেন্স দরকার হয়। ভারত যেভাবে শাসনের নতুন অধ্যায় লিখেছে, বিশ্ব তার সাক্ষী রয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!