প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর বিজেপির অন্দরে বিদ্রোহ যেন চরম আকার ধারণ করেছে। বিশিষ্ট অভিনেত্রীরা প্রার্থী হলেও তাদের কেউ জয়লাভ করতে পারেননি। যার ফলে পায়েল সরকার থেকে শুরু করে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, এমনকি তনুশ্রী চক্রবর্তীকে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রমণ করতে শুরু করেছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়।

স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তথাগত রায়ের লাগাতার আক্রমণাত্মক মন্তব্য বিজেপির শৃঙ্খলাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যের জেরে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতিকে তলব করল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, আজ একটি টুইট করে একথা জানিয়েছেন বিজেপি নেতা তথাগত রায়। যেখানে তিনি জানান, দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, মূলত তারকা প্রার্থীদের নিয়ে একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্যের জন্যই তাকে এবার কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তলব করা হয়েছে।

অর্থাৎ নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে বিজেপি যখন বিরোধী দলের আসন লাভ করেছে, তখন ক্ষমতায় স্বপ্ন দেখা ভারতীয় জনতা পার্টি অস্তিত্ব অনেকটাই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তথাগত রায়ের মত প্রবীণ নেতা সেলিব্রিটি প্রার্থীদের পরাজয় নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন।

তবে এই মন্তব্যের জেরে তৃণমূল নেতাদের হাতে বিজেপির বিরোধীতার যে নতুন অস্ত্র পেয়ে যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল সকলেই। তাই এই পরিস্থিতিতে তথাগত রায়কে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়ে তাকে সতর্ক করার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় বিজেপি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, বিজেপি রাজ্যে বিরোধী আসন দখল করেছে। তবে ক্ষমতা দখল করার স্বপ্ন ছিল তাদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে দলের কোনো নেতা যদি ফলাফল নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন, তাহলে দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে আরও বেশি করে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিতে শুরু করবে।

সেক্ষেত্রে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করে এগিয়ে যাওয়া যখন বিজেপি প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত, তখন তথাগত রায়ের মত বর্ষীয়ান নেতার মুখ থেকে এই ধরনের শব্দ প্রয়োগ নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছে পদ্ম শিবিরকে। তাই শেষ মুহূর্তে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তলব করা হল বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়কে। এখন দিল্লি ডেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তাকে কি নির্দেশ দেওয়া হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।