এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > টিম পিকে ও রাজ্য নেতাদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও তৃণমূলের তালিকা “ফাঁস” আটকানো গেল না!

টিম পিকে ও রাজ্য নেতাদের আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও তৃণমূলের তালিকা “ফাঁস” আটকানো গেল না!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –জেলা স্তরে সাংগঠনিক রদবদলের পর এবার বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ব্লক বা অঞ্চলেও রদবদল করতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। অতীতে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বে পক্ষ থেকে এই নীচুতলায় রদবদল হলেও, এবার সেখানে যথেষ্ট শৃঙ্খলা রাখা হয়েছে। যেখানে জেলা নেতাদের কলকাতায় ডেকে সেই তালিকা মোতাবেক ব্লক স্তরে কারা নেতৃত্ব দেবেন, তাদের নাম চূড়ান্ত করা হচ্ছে।

এক্ষেত্রে প্রশান্ত কিশোরের টিমের সমীক্ষা অনেকটাই কাজে লাগছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় যাতে গোপনীয়তা বজায় থাকে, দলের তরফে নাম ঘোষণা করার আগে যাতে অন্য কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলাও করে তা জাহির না করেন, তার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এতকিছুর পরেও সংগঠনের রদবদল হওয়ার খবর দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করার আগেই তা সমাজবদ্ধ পোস্ট করে ফেললেন তৃণমূল কর্মীরা।

যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অস্বস্তিতে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গেছে, দলের নির্দেশে বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতায় পৌঁছন ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মূর্মু, জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান বীরবাহা সোরেন, দুই কো-অর্ডিনেটর অজিত মাহাতো, উজ্জ্বল দত্ত এবং জেলা যুব তৃনমূলের সভাপতি শান্তনু ঘোষ। এদিকে কলকাতায় সাংগঠনিক রদবদলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশকিছু নাম পোস্ট হতে শুরু করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে গোপীবল্লবপুর 1 ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি হত্যকাণ্ডের পট্টনায়েককে তার পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে বলে কিছু তৃণমূল কর্মীরা দাবি করেন। অন্যদিকে নয়াগ্রাম ব্লকের তৃণমূল সভাপতি শ্রী জীব সুন্দর দাস হয়েছেন বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের অভিনন্দনের জোয়ার বইতে শুরু করে। আর স্বাভাবিকভাবেই দলের তরফে চূড়ান্ত নাম ঘোষণার আগেই বৈঠক হওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে তা জেলার তৃণমূল কর্মীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিলেন এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেরই আশঙ্কা, এইভাবে নাম ঘোষণা হওয়ার আগে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয়ে গেলে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও বাড়তে পারে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার রাজ্য থেকে সম্ভাব্য চূড়ান্ত তালিকা জেলা নেতৃত্বের কাছে পিডিএফ করে পাঠানো হয়। কিন্তু সেই ফাইলের তথ্য জেলা তৃণমূলের আইটি ছেলের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে অবশ্য সেই পোস্ট ডিলিট করা হয়। কেননা এই তালিকা দেখেই রাজ্য নেতৃত্বকে শনিবারের মধ্যে তাদের বক্তব্য জানাবে জেলা নেতৃত্ব। আর তারপরেই সেখানে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে। যার পরে তা চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে মনে করা হয়েছিল।

কিন্তু তার আগেই যেভাবে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয়ে গেল, তাতে তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। কেন বারবার বারণ করা সত্ত্বেও এইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় তা পোস্ট করে দেওয়া হল? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দুলাল মূর্মু বলেন, “আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা উচিত হয়নি।” আর এখানেই প্রশ্ন, বারবার বারণ করা সত্ত্বেও যেখানে পোস্ট করে দেওয়া হল, সেখানে কি তাহলে এই তালিকা বাতিল করে নতুন করে তালিকা তৈরি করবে তৃণমূল নেতৃত্ব? বিতর্ক তৈরি যাতে না হয়, তার জন্য কি এবার নতুন তালিকা সামনে আসতে চলেছে! তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব কি সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!