প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় ভ্যাক্সিনেশন বলেই জানাচ্ছেন সরকার থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা। সেই মতো করে গোটা দেশের মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে জোর কদমে। মানুষের মধ্যেও ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সকলেই আশা করছেন, যেভাবে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত এবং মৃত্যু সংখ্যা নীচের দিকে নামতে শুরু করেছে, তা এই ভ্যাকসিনের সুফল। তবে তার মাঝেই আবার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেখানে ডেল্টা প্রজাতি আবার মাথাচাড়া দিতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে ডেল্টা প্রজাতি এলেও ভ্যাকসিন নেওয়ার কারণে আক্রান্তের সংখ্যা সেভাবে মাথাচাড়া দেবে না বলেই মনে করেছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার সাধারণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের একটি গবেষণা ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করল। যেখানে ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে কোনো টিকা সেভাবে কাজে দেবে না বলেই সেই গবেষণায় উঠে এসেছে‌। স্বাভাবিক ভাবেই ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া করেও যদি ডেল্টা প্রজাতিকে আটকানো সম্ভব না হয়, তাহলে কেন এই ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া? আর কিভাবেই বা করোনা ভাইরাসকে আটকানো সম্ভব হবে, এখন সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

সূত্রের খবর, সম্প্রতি দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের একটি গবেষণা প্রকাশ্যে আসে। যেখানে জানানো হয়, ডেল্টা প্রজাতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম নয় করোনা ভাইরাসের কোনো টিকা। এক্ষেত্রে টিকার তুলনায় আটগুণ বেশি শক্তিশালী ডেল্টা প্রজাতির এই ভাইরাস বলে জানানো হয়েছে সেই গবেষণায়। স্বাভাবিকভাবেই ভারত সরকার এখন দ্রুত করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এমনকি মানুষের মধ্যেও এই টিকা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে সদিচ্ছা তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেই টিকা গ্রহণ করার ব্যাপারে যখন তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে, তখন ডেল্টা প্রজাতিকে আটকানোর দিক থেকে টিকা শক্তিশালী নয় বলে একটি গবেষণায় যে বিস্ফোরক তথ্য উঠে এল, তাতে চিন্তা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে।

অনেকেই বলছেন, যদি গবেষকদের এই গবেষণা সত্যি হয়, তাহলে আগামী দিনে এই ভাইরাস আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে চলেছে। কেননা শেষ পর্যন্ত ভাইরাসকে আটকানোর জন্য একমাত্র উপায় টিকাকরণ বলেই জানিয়েছিলেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে সরকার। সেই মতো করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ভ্যাক্সিনেশন গ্রহণ করার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। মানুষ আশাবাদী হয়ে পড়েছিলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ধীরে ধীরে সচল হয়ে উঠবে দেশ এবং রাজ্য। পাশাপাশি এই করোনা ভাইরাসকে বিলীন করা খুব সহজেই সম্ভব হবে বলেই মনে করা হয়েছিল।

কিন্তু তারপরেও করোনা ভাইরাসের ডেল্টা প্রজাতি মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হতেই ডেল্টা প্রজাতির কাছে সেই টিকা হেরে যেতে পারে বলে যে আশঙ্কা সামনে এল, তা এখন অনেকেরই ঘুম উড়িয়ে দিতে শুরু করেছে। এখন সকলের একটাই প্রশ্ন, তাহলে এত কষ্ট করে দিনের পর দিন লাইন দিয়ে টিকা নিয়ে লাভের লাভ কি হল? যদি করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ কবলে পড়তেই হয়, তাহলে কেন এই টিকাকরণ? সব মিলিয়ে ডেল্টা প্রজাতিকে নিয়ে গবেষকদের গবেষণার পর এখন এই সমস্ত প্রশ্নই মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে।