টিকা নিয়ে এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার জাতীয় রাজনীতি May 27, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশজুড়ে যেভাবে করোনা বেড়ে চলেছে, তাতে চিকিৎসক থেকে প্রশাসন সর্বত্র চরম উদ্বেগ বিরাজমান। পাশাপাশি প্রতিষেধকের অভাব এই মুহূর্তে অত্যন্ত প্রবল হয়ে দেখা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে করোনার টিকা পেতে সরাসরি টিকা উৎপাদক কোম্পানীগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে নেওয়ার জন্য। কিন্তু এখানেই শুরু হয়েছে বিপত্তি। সূত্রের খবর, বৈদেশিক ভ্যাকসিন কোম্পানিগুলি রাজ্যগুলির কাছে টিকা বিক্রিতে মোটেই আগ্রহী নয়। আর তাতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রাজ্যগুলির কপালে। সেই সূত্রে এবার অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে পাল্টা বার্তা রেখেছেন। তাঁর কথায় যদি এই মুহূর্তে ভারতকে বৈদেশিক কোন শত্রু আক্রমণ করত, তাহলে কি প্রতিটি রাজ্য আলাদা আলাদা করে সেই আক্রমণ প্রতিহত করত? প্রসঙ্গত, অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে কাজ কেন্দ্রের করার কথা ছিল অর্থাৎ টিকা কেনার কথা সেই কাজ প্রধানমন্ত্রী চাপিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের উপর। রাজ্য সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বললেও কোন রাজ্য অতিরিক্ত প্রতিষেধকের ডোজ কিনতে পারেনি। প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, টিকার ঘাটতি মেটাতে ইতিমধ্যেই দিল্লি, পাঞ্জাব গ্লোবাল টেন্ডার ডেকেছিল। কিন্তু তাতে বিদেশি টিকা উৎপাদক সংস্থাগুলি কোনো সাড়া দেয়নি। ফাইজার বা মর্ডার্নার মতন সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা রাজ্যগুলিকে আলাদা আলাদাভাবে কোন টিকা বিক্রি করবেনা। একমাত্র সংস্থার নীতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারকেই তাঁরা টিকা বিক্রি করবে। দিল্লি, পাঞ্জাবের এহেন হাল দেখে অন্যান্য রাজ্যগুলি ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা আর গ্লোবাল টেন্ডার ডেকে বৈদেশিক সংস্থার সঙ্গে কথা বলবেনা। আর ঠিক এই পরিস্থিতিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁর যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যগুলি চেষ্টা করেও প্রতিষেধক পাচ্ছেনা। এক্ষেত্রে যদি কখনো ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান যুদ্ধ ঘোষণা করে তাহলে কি রাজ্যগুলিকে আলাদা আলাদা করে প্রতিরোধ করার কথা বলবে কেন্দ্র? পাশাপাশি কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় সরকারের দূরদর্শিতার অভাবকেও তীব্র কটাক্ষ করেছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তিনি জানিয়েছেন, ভারতে ইতিমধ্যেই ছয় মাস দেরি করে টিকাকরণ শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রথম টিকা ভারতীয়রাই তৈরি করেছিল। যদি সে সময় উৎপাদন এবং মজুদে গুরুত্ব দেওয়া হতো, তাহলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলানো অনেক বেশি সহজ হতো। অন্যদিকে করোনার সাথে সাথে দেশে হানা দিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। অতএব করোনাকে আটকানোর পাশাপাশি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস আটকানো। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধ করতে গেলে প্রথমেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার দিকে নজর দিতে হবে। সেক্ষেত্রে শহর পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব হলো পুরসভার। দিল্লিতে রয়েছে তিনটি পুরসভা, যার প্রত্যেকটি দখলে রেখেছে বিজেপি। তাই শহরের স্বার্থে মনে করা হচ্ছে, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশেষ চটাতে চাননা। কিন্তু আপ সরকারের অন্যান্য নেতারা সেই কথা মাথায় না রেখে দুর্নীতি থেকে কর্তব্যে অবহেলা প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। আর এক্ষেত্রে তাই বেশ কিছুটা চাপে রয়েছে এই মুহূর্তে দিল্লি সরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে বিভিন্ন সময় দেখা গিয়েছে, নরমে-গরমে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রাখতে। তাই মনে করা হচ্ছে, প্রতিষেধক নিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল যে উদাহরণ ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সরকারকে মনে করালেন কর্তব্যের কথা, তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। পাল্টা নজর রাখা হবে কেন্দ্রীয় সরকার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের এই বার্তাকে কতটা গুরুত্ব দেয়। আপনার মতামত জানান -