এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > তিক্ততা কি মেটার পথে? অধীরকে পাশে পেলেন মমতা! তুঙ্গে জল্পনা!

তিক্ততা কি মেটার পথে? অধীরকে পাশে পেলেন মমতা! তুঙ্গে জল্পনা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  জাতীয় স্তরে বিভিন্ন ইস্যুতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হলেও বাংলায় তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় কংগ্রেসের। কথায় কথায় বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার এবং তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তবে বিএসএফের এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে, তার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল।

আর সেই ব্যাপারে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাড়াতে দেখা গেল অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে। যেখানে বিএসএফের বিরুদ্ধে সরব হয়ে এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের বিধানসভায় প্রস্তাব পাস করানো উচিত বলে দাবি করলেন তিনি। যার জেরে জল্পনা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে, তাহলে কি অধীর রঞ্জন চৌধুরী এই ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ভবিষ্যতের কোনো ইঙ্গিত দিলেন!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, আজ এই প্রসঙ্গে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। যেখানে কোচবিহারের সিতাই গ্রামে বিএসএফের গুলিতে তিনজন গরু পাচারকারীর মৃত্যু হয়েছে বলে সরব হন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে অধীরবাবু বলেন, “বিএসএফ কেন গুলি করেছে, সেটা বিএসএফ জানে। বিএসএফ যে 50 কিলোমিটার নিজের এলাকা বাড়াতে চাইছে, সার্চ ও সিজার করার জন্য, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উচিত বিধানসভায় ডেকে তার প্রস্তাব পাস করে বিরোধীদের কাছে পাঠানো যে, এই প্রস্তাব মানছি না। এলাকা যদি বাড়ানো হয়, তাহলে অনেক বড় এলাকা চলে আসবে বিএসএফের কাছে। ওই এলাকার মানুষ বিএসএফকে ভরসা করে না। বিএসএফের উপর অনেক অভিযোগ আছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি, বিধানসভা ডেকে অতিসত্বর ক্ষমতা বৃদ্ধি যাতে না করে বিএসএফ, তাতে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব করা।”

অর্থ্যাৎ অধীরবাবু কার্যত পরিষ্কার করে দিলেন যে, এই ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার যে বিরোধিতা করছে, তাতে তারা সরকারের পাশে থাকবে। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বিএসএফের ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে, তাতে রীতিমতো অসন্তুষ্ট অধীর রঞ্জন চৌধুরী স্বভাবতই তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে এই ব্যাপারে বিধানসভা ডেকে প্রস্তাব পাস করার দাবি করলেন। যার জেরে একাংশ বলছেন, তাহলে কি এবার এই ইস্যুর মধ্যে দিয়েই তিক্ততা মিটে যাবে অধীর রঞ্জন চৌধুরী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের? গোটা বিষয়টিকে কেন্দ্র করে জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!