এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ফের কড়াকড়ি প্রশান্ত কিশোর, এই নিয়ম না মানলে পড়বে বড়সড় কোপ? সংশয়ে নেতারা

ফের কড়াকড়ি প্রশান্ত কিশোর, এই নিয়ম না মানলে পড়বে বড়সড় কোপ? সংশয়ে নেতারা

কথায় আছে, বাঙালির হাতে ঘড়ি নয়, ঘোড়া চলে। আর তৃণমূল নেতাদের ক্ষেত্রে সেই সময় অনেক সময় পেছনে পড়ে যায়। সময়ে সভাস্থলে পৌঁছনো তো দুরস্ত, উল্টে অনেক ক্ষেত্রে বিকেল চারটায় সভার সময় দেওয়া থাকলে, রাত আটটায় গিয়ে সেই তৃণমূল নেতার মনে পড়ে যে, কোথাও তার সভার সময় দেওয়া ছিল। কিছু সময় কারও জন্য থেমে থাকে না। অনেকে বলেন, সময়ে পৌঁছানো মানুষের সঠিক দায়িত্ববোধের মধ্যে পড়ে। তাই এবার তৃণমূল নেতাদের মধ্যে সেই দায়িত্ববোধের জাগ্রত ঘটানোর জন্য কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর বৈঠকে সময়কেই পাখির চোখ করল প্রশান্ত কিশোরের টিম।

বস্তুত, আজ কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সমস্ত স্তরের জনপ্রতিনিধি এবং পদাধিকারীদের নিয়ে মেগা বৈঠক করতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা যাচ্ছে, এই বৈঠক থেকেই ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেবেন তৃণমূল নেত্রী। কি হবে সেই কর্মসূচি! কতটা জমকালো হবে, তা কারোরই জানা নেই। তবে তৃণমূল নেতাদের শুভবুদ্ধির উদয় ঘটল কিনা, তা দেখবার জন্য সকল নেতা সেই সভাস্থলে পৌঁছচ্ছেন কিনা, তার দিকে নজর রাখতে উদ্যোগী হল প্রশান্ত কিশোরের টিম। কথায় আছে, ঠেলায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।

প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফ থেকে এই রকম পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে, এই খবর শুনেই আগেভাগেই ট্রেন ধরে কলকাতা পৌছানোর হিড়িক পড়ে গেছে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে। সূত্রের খবর, শনিবার নেতাজি ইন্ডোরের বৈঠকে আমন্ত্রিত আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল নেতাদের মধ্যে কলকাতা যাওয়ার জন্য ব্যাপক তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। কারও কনফার্ম টিকিট কাটা না থাকলেও, এক নেতার কাটা সিট শেয়ার করে দুই নেতাকে যেতে দেখা গেছে কলকাতায়। কেউ কেউ আবার সোজা বাগডোগরা থেকে বিমানে করে কলকাতা রওনা দিয়ে দিয়েছেন। কেননা রিক্স নিতে চাইছেন না কেউই। তাতে অর্থ যা লাগে লাগুক। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের টিমের রোষানলে পড়তে নারাজ তৃণমূলের কোনো নেতাই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, প্রশান্ত কিশোরের টিমের তরফে ইতিমধ্যেই স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সোমবার এই সভার জন্য রেজিস্ট্রেশন এবং প্রবেশ বেলা 10 টায় শুরু হয়ে যাবে। যার আগে 9:45 মিনিটে সভাস্থলে উপস্থিত থাকতে হবে সকল স্তরের তৃণমূলের নেতা এবং পদাধিকারীদের। এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “এমনিতে তো টিকিট কনফার্ম হয়নি। তৎকাল টিকিট পায়নি। রোববার কলকাতায় না পৌঁছলে সোমবার বেলা পৌনে দশটায় সভাস্থলে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ঝুঁকি থেকে যায়। সেজন্য নেতার সঙ্গে আসন ভাগ করে শনিবার ট্রেনে চেপে পড়েছি।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে আলিপুরদুয়ার পৌরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান আশিস দত্ত বলেন, “শুরু থেকেই ট্রেন দেরিতে চলছে। ফলে সোমবার নির্দিষ্ট সময়ে আদৌ সভায় পৌঁছতে পারব কিনা, এখন সেটাই চিন্তার বিষয়।” কিন্তু যদি সত্যি সত্যিই প্রশান্ত কিশোরের টিম সময়ে না পৌঁছলে, তৃণমূল নেতাদের ঢোকার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ জারী করে, তাহলে তো অস্বস্তিতে পড়বেন দূরদূরান্ত জেলা থেকে যাওয়া তৃণমূলের নেতা পদাধিকারীরা! এক্ষেত্রে কি হবে! ট্রেন এবং বাস যদি দেরি করে আসে, তাহলে কি সত্যিই প্রবেশাধিকারে নিষেধাজ্ঞা পাবেন তৃণমূলের এই নেতারা!

এদিন এই প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “আমাদের নেতারা দলের যে কোনো কর্মসূচি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল। নির্দিষ্ট সময়ে কলকাতার সভায় পৌঁছতে অনেকেই শনিবার ট্রেনে ধরেছেন। কেউ কেউ একটি আসন নিজেদের মধ্যে ভাগ করে রবিবার কলকাতায় পৌঁছেছেন।” কিন্তু আদৌ কি সময়ে পৌছাতে পারবেন তৃণমূল নেতারা! এখন সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!