এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > বাংলার পরিস্থিতি ও পরবর্তী রণকৌশল নিয়ে অমিত শাহকে বিশেষ চিঠি দিলীপ ঘোষের, বাড়ছে জল্পনা

বাংলার পরিস্থিতি ও পরবর্তী রণকৌশল নিয়ে অমিত শাহকে বিশেষ চিঠি দিলীপ ঘোষের, বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 যত এগিয়ে আসছে, ততই বাংলার সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে যেমন ময়দানে নামছে গেরুয়া শিবির, ঠিক তেমনই কেন্দ্রীয় স্তরে চিঠি-চাপাটির মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে তাদের। কখনও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে দরবার করে “বাংলায় গণতন্ত্র নেই” বলে অভিযোগ করছে গেরুয়া শিবির, আবার কখনও বা রাষ্ট্রপতি শাসনের ইঙ্গিত করতে দেখা যাচ্ছে তাদের।

মোটের উপর বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের অস্বস্তি বৃদ্ধি করা এখন প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গ বিজেপি নেতাদের। সূত্রের খবর, এবার পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা এই চিঠিকে ঘিরে এখন ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।

জানা গেছে, চিঠিতে বাংলার আইন-শৃঙ্খলা যে সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে, সেই কথা তুলে ধরা হয়েছে‌। শুধু তাই নয়, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচন কোনোমতেই সম্ভব নয় বলে জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সব থেকে বেশি আইন-শৃংখলার দিকে অভিযোগ করা হয়েছিল।

আর এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যখন তৃণমূলকে সরাতে উদ্যোগী ভারতীয় জনতা পার্টি, তখন তারা সেই আইন-শৃঙ্খলার দূর্বলতার দিকটি তুলে ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে চাইছে। জানা গেছে, আগামী ছয় মাস জুড়ে বাংলায় কিভাবে প্রচার কৌশল হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বৈঠকে বসেছেন বিজেপি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা। আর তার মাঝেই বাংলা সরকারের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা অবনতির অভিযোগ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে দিলীপ ঘোষ “বাংলায় যে গণতন্ত্র নেই” তা আরও একবার বোঝানোর চেষ্টা করলেন বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু আইন শৃঙ্খলা অবনতির বিষয় নয়, কৃষি বিল নিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অপপ্রচার করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে বিজেপির তরফ থেকে। যার পাল্টা আগামী মাস থেকেই বিজেপি নেতা কর্মীরা পথে নামবেন বলে খবর। অর্থাৎ কৃষকদের নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস কৃষি বিলের বিরোধিতা করে বিজেপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেও, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের জন্য কি কি প্রকল্প করছে, তা প্রচারের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে পদ্ম শিবিরের।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি নেতা বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মত রাজ্যে কৃষি স্পর্শকাতর বিষয়। এই নিয়ে কি লাভ হতে পারে, তা এখন থেকে তুলে ধরতে হবে। তা না হলে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে যেমন ভুয়ো প্রচার করে হাওয়া কেড়ে নিয়েছিল তৃণমূল, এক্ষেত্রে তাই হবে।” কিন্তু এদিন দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বাংলার আইন শৃঙ্খলা অবনতির বিষয়ে যে চিঠি দিলেন, তার সেই চিঠিতে কি রাষ্ট্রপতি শাসনের কোনো ইঙ্গিত রয়েছে? জানা গেছে, তেমন কোনো ইঙ্গিত চিঠিতে নেই। তবে আইন শৃঙ্খলা অবনতির বিষয় কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরে বিজেপি যে বাংলার নির্বাচনে আরও বেশি করে নিরাপত্তা প্রদানের ব্যাপারে কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “তৃনমুল সবকিছু নিয়ে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে। জবাবে পাল্টা প্রচারে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” অর্থাৎ আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে এবার টানা ছয় মাস তৃণমূলের প্রচারের পাল্টা প্রচারে নেমে রাজ্যের শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে উদ্যোগী গেরুয়া শিবিরের নেতারা।

আর প্রচার-পাল্টা প্রচারে তৃণমূল- বিজেপির তরজায় এখন কার্যত জমে উঠতে পারে বঙ্গ রাজনীতি। এখন দেখার বিষয়, শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে আইন-শৃংখলার ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ করে বিজেপি তৃণমূলের কতটা বিড়ম্বনার কারণ হতে পারে! আর এর ফলে ভোটবাক্সে কি প্রভাব পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!