এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূল থেকে বিজেপি – ক্ষমতায় যে আমপান দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে তারই! ক্ষোভ বাড়ছে জনমানসে!

তৃণমূল থেকে বিজেপি – ক্ষমতায় যে আমপান দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে তারই! ক্ষোভ বাড়ছে জনমানসে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –একজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গন্ধ পেলেই অন্য দল ময়দানে নেমে পড়েন। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে নারাজ। কিন্তু বাস্তবে চোখ মেললে দেখা যাবে, ভয়াবহ দুর্যোগে ক্ষতিপূরণের টাকা নিয়ে যখন তৃণমূলের ওপর চাপ বাড়াতে মরিয়া ভারতীয় জনতা পার্টি, ঠিক তখনই ভারতীয় জনতা পার্টির দিকেও একই অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।

যেখানে যে ক্ষমতায়, সেখানে তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছে ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করার। যার ফলে মানুষের বিশ্বাস রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর থেকে ক্রমশ উঠতে শুরু করেছে। কোথাও তৃণমূলের উপ-প্রধানের স্বামী, আবার কোথাও বা বিজেপি প্রধানের ছেলের নামে ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।

অর্থাৎ নদীয়া জেলায় বিভিন্ন পঞ্চায়েতে চোখ মেললেই দেখা যাবে যে, যেখানে যে দল ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানে সেই দলের পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এই ক্ষতিপূরণের টাকা আত্মসাৎ করে নেওয়ার। জানা যায়, চাপরা ব্লকে ঘর ভাঙ্গার জন্য প্রথমে 505 টি আবেদন জমা পড়েছিল। কিন্তু তদন্তে নেমে দেখা যায়, সেখানে প্রায় 400 চারজনেরই নাম বাদ গিয়েছে। কারণ তারা অনেকেই শাসকদলের বিভিন্ন নেতাদের ঘনিষ্ঠ এবং আত্মীয়-পরিজন। আর একগুচ্ছ নাম দুর্নীতির কারণে বাদ যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত 55 জন প্রকৃত সুবিধা পান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে হাঁসখালি ব্লকের ময়ূরহাট 1 গ্রাম পঞ্চায়েত, স্বরুপগঞ্জ পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন জায়গায় যেহেতু তৃণমূল বেশি পঞ্চায়েতের ক্ষমতায় রয়েছে, সেহেতু তাদের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এই টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির গন্ধ পাওয়ার সাথে সাথেই সোচ্চার হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আগামীতে রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তারা সুশাসনের প্রতিশ্রুতি দিতে শুরু করেছে।

কিন্তু বেশ কিছু পঞ্চায়েতে বিজেপি ক্ষমতায় থাকায় তাদের আচরণ এখন থেকেই প্রত্যক্ষ করছে জনসাধারণ। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের পাশাপাশি বিজেপি যে সমস্ত পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে, সেখানেও তাদের অনেক জনপ্রতিনিধি ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা নিয়ে নয়ছয় শুরু করেছেন। যেমন ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের ছেলের নামে যেমন টাকা এসেছে, ঠিক তেমনই নাকাশিপারা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতার স্ত্রীর নামেও ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকে গেছে।

অন্যদিকে বিজেপির দখলে থাকা বেথুয়াডহরি 2 গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বিজেপি সদস্য আত্মীয়-পরিজনের নামেও এই ক্ষতিপূরণের টাকা ঢুকেছে বলে অভিযোগ। তবে ইতিমধ্যেই গোটা ব্যাপারটি জানাজানি হয়ে যাওয়ায় ভীমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এবং নাকাশিপারা পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা তাদের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে ময়ূরহাট 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী এবং শ্বাশুড়ীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল এবং বিজেপি কি তাহলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ? যেখানে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত রয়েছে, সেখানে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে বিজেপি। কিন্তু যেখানে বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত রয়েছে, সেরকম অনেক জায়গায় দেখা যাচ্ছে, ভয়াবহ দুর্যোগের টাকা বিজেপি অনেক জনপ্রতিনিধিরা আত্মস্যাৎ করছে। সেদিক থেকে দুই দলের দিকেই এখন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ।

তাদের প্রশ্ন, তাহলে বিজেপি কি করে তাদের সুশাসন দেবে? যেখানে তৃণমূলের ছেড়া-চটিতে পা গলাচ্ছে তারা, সেখানে বিজেপি যদি ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসে, তাহলে তারা যে দুর্নীতি করবে না, তার গ্যারান্টি কোথায়? এখন বিরোধী দলে থাকার সময় যেখানে তারা ক্ষমতায় আছে, সেই পঞ্চায়েতে বিজেপির ভালো কাজ করা উচিত ছিল। সেদিক থেকে অনেকটাই চাপে পড়ত তৃনমূল কংগ্রেস। কিন্তু তা না করে যেভাবে তাদের অনেক পরিচালিত পঞ্চায়েতেও তাদের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তাতে গেরুয়া শিবির এবং তৃণমূল কংগ্রেস দুজনেই সাধারণের প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!