19 জানুয়ারি কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের সভা থেকেই বিজেপি বিরোধী মহাজোটকে ঐক্যবদ্ধ করার ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের প্রায় সিংহভাগ বিরোধী দলের নেতারাই সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

এমনকি বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল বিরোধী হিসেবে পরিচিত কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকেও লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেও সেই সমাবেশে এসেছিলেন। আর যার জেরে রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বরা কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লেও এবারে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সমাবেশের ব্যাপারে মুখ খুললেন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র।

প্রসঙ্গত, তৃণমূলের এই ব্রিগেড সমাবেশের হওয়ার আগে তার প্রচারে গিয়ে বিভিন্ন জেলায় রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভবিষ্যতে কেন্দ্রের প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসানোর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন রাজ্যের ঘাসফুল শিবিরের নেতা মন্ত্রীরা। আর তৃনমূলের সেই ব্রিগেডের অনুষ্ঠান থেকে চলে যাওয়ার পরই কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন তামিলনাড়ুর স্ট্যালিন, আরজেডির তেজস্বী যাদব সহ অন্যান্যরা।

আর এবার এই দেশের সমস্ত বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই মাঠে নেমে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে মন্তব্য করে রাজ্যের ঘাসফুল শিবিরকে চাপে ফেলার চেষ্টা করলেন প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম নেতা ওমপ্রকাশ মিশ্র।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন কেন্দ্রে অকংগ্রেসী ও অবিজেপি সরকার গড়তে হবে। কিন্তু এই ব্রিগেডের মূল বিষয় ছিল কংগ্রেস। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মিটিংয়ে যারা এসেছিল, তারা প্রত্যেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে রয়েছে। তাই সেই হিসেবে এই ব্রিগেডে না এসে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।”

প্রসঙ্গত, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ জানালেও কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী বা সোনিয়া গান্ধী কেউই কলকাতায় তৃণমূলের এই ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত হননি। উল্টে প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অভিষেক মনু সিংভিকে সেখানে পাঠিয়েছেন তাঁরা।

ফলে সেই ব্রিগেড সমাবেশের পরই তৃণমূলের মঞ্চে উপস্থিত দেশের বিরোধী দলের নেতাদের অধিকাংশই রাহুল গান্ধীকে ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে মন্তব্য করলে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা খোঁচা দিয়ে ঘাসফুল শিবিরের ওপর চাপ সৃষ্টি করলেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা।