এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > তৃণমূলের হেভিওয়েট কাউন্সিলারের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই! তীব্র চাঞ্চল্য!

তৃণমূলের হেভিওয়েট কাউন্সিলারের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে ছিনতাই! তীব্র চাঞ্চল্য!

রাজ্যে আইনের শাসন নেই বলে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছেন বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। তবে বর্তমানে বিরোধীদের তেমন কোনো দাবি নেই। কারণ এখন লক্ষ্য একটাই, রাজ্যকে করোনা মুক্ত করা। আর সেই কারণে শাসক-বিরোধী সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। তবে করোনা মুক্ত করা যখন প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে, যখন গোটা রাজ্য লকডাউন, ঠিক সেই সময় তৃণমূলের জনপ্রতিনিধির নিরাপত্তাহীনতার ঘটনা চোখের সামনে চলে এল।

বিরোধীদের প্রতি হামলা হয়, এই অভিযোগ বিরোধীদের মুখে প্রতিনিয়ত শোনা যায়। এমনকি শাসকদলের পক্ষ থেকে সেই অভিযোগ খণ্ডন করতেও দেখা যায়। কিন্তু সেই অভিযোগকে দূরে রেখে তৃণমূলের কাউন্সিলারের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা ছিনতাই রাজ্যের আইনের শাসনকেই যে প্রশ্নচিহ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে, তা বলাই যায়। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে পুরাতন মালদার 5 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বশিষ্ঠ ত্রিবেদী নিজের পার্টি অফিসে বসেছিলেন।

অভিযোগ, রাত আটটা নাগাদ মোটর বাইকে চেপে কিছু দুষ্কৃতী সেই পার্টি অফিসে ঢুকে তৃণমূল কাউন্সিলরের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকায়। তবে এই ঘটনায় সেই তৃণমূল কাউন্সিলর প্রাণে রক্ষা পাওয়ার জন্য দুষ্কৃতীদের বাধা দিলে তাকে চরম মারধরের শিকার হতে হয়। আর এরপরই দুষ্কৃতীরা কাউন্সিলরের পকেট থেকে আড়াই হাজার টাকা ছিনতাই করে এলাকা থেকে চম্পট দেয়। তবে দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেওয়ার আগেই চিৎকারে এলাকাবাসী একজনকে ধরে ফেলে এবং বেধড়ক মারধর করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বর্তমানে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। আর এই ঘটনাতেই এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরাতন মালদার 5 নম্বর ওয়ার্ডে। অনেকেই বলছেন, শাসকদলের কাউন্সিলার যেখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, যেখানে তৃনমূলের কাউন্সিলরের ওপর এই ধরনের দুষ্কৃতী হামলা হচ্ছে, সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? এলাকাবাসীর তরফে জানা গেছে, শাসকদলের কিছু নেতার মদতেই এখানে দুষ্কৃতীরা এতটা বাড়বাড়ন্ত শুরু করেছে।

আর সেই দুষ্কৃতীদের বিষদাঁত এতটাই শক্ত হয়ে গিয়েছে যে, তারা তৃণমূলের কাউন্সিলরকে মারধর এবং ছিনতাই করার সাহস পেয়ে গেলেন। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল? এদিন এই প্রসঙ্গে 5 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, “এলাকার এক বাসিন্দা অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাতে দলীয় কার্যালয়ে বসে তার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করেছিলাম। সেই সময় দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে এসে আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে মারধর করে। এক জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “এলাকাবাসী ছুটে না এলে আমাকে ওরা খুন করে দিত। এই হামলার পেছনে কারা মদত দিচ্ছে, সেটা আমার জানা নেই। তবে সব কথা পুলিশকে বলা হয়েছে।” তবে তাদের দলের কাউন্সিলের উপর এই হামলা কি আইনের শাসন না থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে না? এদিন এই প্রসঙ্গে শহর তৃণমূল নেতা নবরঞ্জন সিনহা বলেন, “ঠিক কি ঘটেছে, আমার জানা নেই। তবে দলীয় কাউন্সিলরের উপর যদি এই ধরনের হামলা হয়, তাহলে সেটা বাঞ্ছনীয় নয়।”

নবরঞ্জনবাবুর কথায়, “উনি শহরের বর্ষীয়ান কাউন্সিলর। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখুক।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল যে কথাই বলুন না কেন, যেভাবে তাদের কাউন্সিলর দুষ্কৃতীদের হামলার শিকার হলেন, তাতে একটা ব্যাপার স্পষ্ট যে, পুরাতন মালদহ শহরের 5 নম্বর ওয়ার্ডে আইনের শাসন সম্পূর্ণরূপে ধুলিস্যাৎ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, আদৌ ঘটনার পিছনের মূল মাথারা গ্রেপ্তার হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!