প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বছরের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে মুখ্যমন্ত্রী যখন তার দলের নেতা, কর্মী তথা সদস্যদের বারবার স্বচ্ছ থাকবার ও মানবিক হবার আবেদন জানিয়েছেন, ঠিক সেসময় তৃণমূল দলের জনৈক সদস্যের বিরুদ্ধে উঠে এলো এক গুরুতর অভিযোগ।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য দপ্তরের স্থায়ী সমিতিতে কর্মরতা এক মহিলাকে যৌন নিগ্রহের গুরুতর অভিযোগ উঠে এলো সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। যার ফলে চরম অস্বস্তিতে পড়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে খাদ্য দপ্তরের স্থায়ী সমিতিতে কর্মরতা মহিলাটি পারিবারিক সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন। পারিবারিক সমস্যার সমাধান কল্পে তিনি জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কাছে গিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেই সুযোগে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন। তার সঙ্গে হওয়া এই অনাচারের বিষয়টি প্রথমে তিনি দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন। তবে কোন প্রতিকার পাননি। উপরন্তু তাঁকে এই সমস্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এমনটাই অভিযোগ করেছেন তিনি।

শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে হওয়া এই অন্যায়ের প্রতিকার কল্পে তিনি পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা থানাতে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সঙ্গে তিনি মেদিনীপুর আদালতের দ্বারস্থও হন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ ও সেইসঙ্গে তৃণমূলের স্থানীয় প্রভাবশালী অমূল্য মাইতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ বি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে অমূল্য মাইতির বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডেবরা থানার এসডিপিও সমীর অধিকারীকে।

তবে, নিজের উপর নিজের বিরুদ্ধে ওঠা এই গুরুতর অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খন্ডন করেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি। এর জন্য তিনি পুরোপুরি দায়ী করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বকে। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক চক্রান্ত করে তাঁর নামে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বিজেপি নেতৃত্বের চক্রান্ত। তবে, স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনার জন্য জন্য অমূল্য মাইতিকেই সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী করেছেন। সেই সঙ্গে এই ঘটনার উপযুক্ত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিজেপি সহ সভাপতি শুভজিৎ রায়।

এই অভিযোগের ঘটনাটি নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোন বিবৃতি দেখা যায়নি শাসকদলকে। তবে এই ঘটনায় শাসক দল শাসকদল যে চরম অস্বস্তিতে পড়েছে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।