এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > হেভিওয়েট নেতার মান ভাঙাতে আপ্রাণ চেষ্টা দুই তৃণমূলী হেভিওয়েটের? শেষ রক্ষা হবে কি?

হেভিওয়েট নেতার মান ভাঙাতে আপ্রাণ চেষ্টা দুই তৃণমূলী হেভিওয়েটের? শেষ রক্ষা হবে কি?

ইংরেজবাজার পুরসভার অনাস্থা জট কাটাতে ডাকা বৈঠক ফের উপেক্ষা করলেন কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী।শনিবার তৃণমূলের মালদহ জেলা সভাপতি মৌসুম নুরের ডাকা বৈঠকে হাজির হলেন না অন্তত দশ জন কাউন্সিলর। সেই তালিকায় ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুও। এ দিন এই বৈঠকে মৌসমের সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক গোলাম রব্বানিও।

দলীয় সূত্রের খবর, দু’ঘণ্টার বৈঠকের পর বিকেল নাগাদ কৃষ্ণেন্দুর মান ভাঙাতে কালীতলায় তাঁর ব্যক্তিগত কার্যালয়ে যান রব্বানি ও মৌসম। কৃষ্ণেন্দুর ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৈঠকের আগেই কৃষ্ণেন্দু এ দিন রব্বানিকে নিজের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজে ডাকেন। তবে দু’জনে তাঁর কালীতলার অফিসে যান। সেখানেই ঘণ্টাদেড়েক কথা হয় তিনজনের। খাওয়াদাওয়াও হয় বলে জানা গিয়েছে।

এর আগে বৈঠকের শেষে রব্বানি ও মৌসম দু’জনেই জানান, পুরপ্রধান হিসেবে নীহাররঞ্জন ঘোষই থাকছেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে প্রশাসনিক তদন্ত হবে। তবে রব্বানি বলেন, ‘‘পুরসভা সংক্রান্ত বিষয়ে কাউন্সিলরদের মধ্যে কোনও দ্বন্দ্ব নেই। পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষই থাকছেন। পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে একাধিক কাউন্সিলরের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে। তবে পুরসভা পরিচালনার জন্য তিন থেকে চারজন কাউন্সিলরকে নিয়ে একটি মনিটরিং কমিটি হবে। সেই কমিটি গঠন করবেন দলের জেলা সভাপতি।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মৌসম বলেন, ‘‘বিশেষ কারণে কিছু কাউন্সিলর আসবেন না বলে জানিয়েছিলেন। তবে সমস্ত কাউন্সিলর এক হয়ে কাজ করবেন।’’ বস্তুত, গত ২ সেপ্টেম্বর পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম দু’পক্ষের দলীয় কাউন্সিলরদের কলকাতায় ডেকে বৈঠক করেন। কিন্তু তারপরেও সমস্যা না মেটায় গত বৃহস্পতিবার ফের দলের জেলা সভাপতি সহ পাঁচ জন কাউন্সিলরকে ডেকে কলকাতায় বৈঠক করেন পুরমন্ত্রী।

দলীয় সূত্রে খবর, সেই বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতেই এ দিন দুপুরে দলের জেলা কার্যালয় নুর ম্যানসনে ইংরেজবাজার পুরসভার দলীয় ২৪ জন কাউন্সিলরকে বৈঠক ডাকেন মৌসম। কিন্তু যাননি অন্তত দশজন কাউন্সিলর। চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অশোক সাহা বৈঠকে থাকলেও তিনি বৈঠকের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেননি। আর এই মিটতেই মৌসমদেবী ও রব্বানিসাহেব চলে যান কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে দেখা করতে।

এদিন এই প্রসঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে রব্বানি বলেন, ‘‘কৃষ্ণেন্দুবাবু দুপুরে খেতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। রক্ষা করলাম। অন্য কোনও বিষয় নেই।’’ অন্যদিকে কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘পর্যবেক্ষক আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তাঁকে আসতে বলি। সভাপতিও এসেছিলেন। আমি কেন আজ বৈঠকে যাইনি তা আমি তাঁদের জানিয়েছি।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!