এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলে যোগ দিলেই মিলছে উপহার, দল ভারী করতে নয়া কৌশল পিকের

তৃণমূলে যোগ দিলেই মিলছে উপহার, দল ভারী করতে নয়া কৌশল পিকের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের ভাবমূর্তি মানুষের কাছে ভালো ভাবে তুলে ধরতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা করা হয় প্রশান্ত কিশোরকে। দায়িত্ব নেওয়ার পরই বিশিষ্ট এই নির্বাচনী রণনীতিকার নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি আরও ভালো করার উদ্যোগ নেয়। “দিদিকে বলো” কর্মসূচি থেকে শুরু করে “বাংলার গর্ব মমতার” মধ্যে দিয়ে মানুষের কাছে তৃণমূল দলকে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। বর্তমানে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এখন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের যোগদান করানো যায়, তার ব্যাপারে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছে প্রশান্ত কিশোর।

জানা গেছে, বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কাছে প্রস্তাব দিতে শুরু করেছে যে, তারা যাতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। এদিকে এবার তৃণমূলের নাম লিখিয়ে ধুতি, গামছা এবং মহিলাদের জন্য শাড়ি উপহার পেলেন পঞ্চাশটি দরিদ্র পরিবারের মানুষরা। আর বিরোধীদল ভাঙিয়ে তৃণমূলের ব্যাপক যোগদানের পর দরিদ্র মানুষদের কাছে এই উপহার পৌঁছে দেওয়ার পেছনে প্রশান্ত কিশোরের সূক্ষ্ম মস্তিষ্ক কাজ করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ উপহার দিয়ে মানুষের মন জয় করে আরও বেশিসংখ্যক কর্মীদের যাতে তৃণমূল কংগ্রেসে আনা যায়, তার জন্যই এই চেষ্টা বলে দাবি একাংশের।

সূত্রের খবর, শনিবার বাগদা ব্লকের পুরাতন হেলেঞ্চায় উপঢৌকন দিয়ে বেশ কিছু পরিবারকে তৃণমূল নিজেদের দিকে নিয়ে এসেছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। তাহলে কি এবার শাড়ি, গামছা, ধুতির মত উপহার দিয়ে তৃণমূল বিরোধী দলকে যেমন ভাঙতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই সাধারণ গরিব মানুষের মন জয় করতে তাদের এই উদ্যোগ! বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে শাসক দলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে বারাসাত বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, “লোকসভা ভোটে বিজেপি তৃণমূলের থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল। এবার পরিস্থিতি খারাপ বুঝে তৃণমূল লোভ দেখিয়ে গরিব আদিবাসীদের জানতে চাইছে।” তবে বিরোধীদের এই অভিযোগকে পাত্তা দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য পরিতোষ সাহা বলেন, “বিভিন্ন সময় আদিবাসীদের সহযোগিতা করা হয়। করোনা আবহে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছেন। ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী নিয়ে আগেও আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি। তৃণমূলে কাউকে প্রলোভন দেখিয়ে দলে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নের শামিল হতে স্বেচ্ছায় এই পরিবারগুলো তৃণমূলে যোগদান করেছে।”

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, সবথেকে বড় আপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরোধীদের কাছে, যারা তৃণমূলে যোগদান করেছে, তাদের উপঢৌকন দেওয়ার বিষয়টি। আর তাই এই বিষয়টিকে হাতিয়ার করেই এখন বিরোধীরা অভিযোগ করতে শুরু করেছে যে, তৃণমূল প্রলোভন দিয়ে বিরোধী দল ভাঙার চক্রান্তে সামিল হয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই এই গোটা ঘটনা নিয়ে এবার বিরোধীদের তরফ থেকে তৃণমূলের এই যোগদান প্রক্রিয়াকে কার্যত অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা শুরু হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এখন তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে কিভাবে নস্যাৎ করতে সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!