এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রী

মৃতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে এসে ক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রী

গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রাণ কেড়ে নিল আরো এক দলীয় কর্মীর। তবে এ দলীয় কর্মী কোনো বিরোধী পার্টির নয়,খোদ শাসকদলেরই। জানা গেছে, এদিন বিডিও অফিস থেকে কাজ মিটিয়ে বাইক চেপে বাড়ি (কুমড়ুল গ্রাম) ফিরছিলেন গোপীনাথপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা এবারের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য মৃত্যুঞ্জয় বেরা। তখনই পথে তার উপর হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতি। মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে লাগে তাঁর। গুরুতর জখম হয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কিছু স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে ভর্তি করান তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় কোলকাতার এক নার্সিংহোমে। এরপর ক্ষুব্ধ মৃত্যুঞ্জয় বাবুর স্ত্রী শিপ্রা বেরা প্রাক্তন প্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা চিত্তরঞ্জন সাঁতরা ও তাঁর ভাই নিত্যানন্দ সাঁতরা সহ মোট ১৫ জনের নামে ধনেখালি থানায় এফআইআর দায়ের করেন। এরপর এদিন মৃত্যুঞ্জয়বাবুর মৃত্যুর খবর এলে ক্ষোভের আগুন জ্বলে ওঠে স্থানীয়দের বুকে। নিমেষেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে এলাকা।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এই ঘটনার পর ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র এবং জেলার কার্যকারী সভাপতি প্রবীর ঘোষাল এদিন মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এসেই এলাকাবাসীদের ক্ষোভের সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। তাঁদের দেখে মৃত্যুঞ্জয় বাবুর মা সন্ধ্যা বেরা প্রথমে কান্নাকাটি জুড়লেও মুহূর্তেই সেই কান্না পরিনত হয় আগুনে।  চোখের জল মুছে তিনি জানান যে যে ছেলের খুনিরা ধরা না পড়লে এলাকা সিপিএম এর পতাকা দিয়ে ঘেরা হবে। এর পাশাপাশি হুমকিতে এটাও বলেন যে এলাকায় কাউকেই তৃণমূল করতে দেওয়া হবে না।  তিনি জানান যে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার ৭ দিন পরেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। ওদিকে, দুষ্কৃতিরা লাগাতার ফোন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে যারা মৃত্যুঞ্জয়বাবুকে সাহায্য করেছিলেন এবং হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন তাঁদেরকে। শুধু তাই নয়,এঁরাই আবার সোশ্যাল মিডিয়া নিজেদের নির্দোষ ব্যাখ্যা দিয়ে পোস্ট করছেন। তিনি দাবী করছেন, আসলে অভিযুক্তদের সাথে পুলিশের হাত আছে। তাই পুলিশকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না। এরপর তিনি শাসানি দিয়ে এটাও বলেন যে অবিলম্বে পুলিশ যদি দোষীদের ধরতে না পারে তাহলে এলাকাবাসীই তাঁদের ধরে যথাযোগ্য শাস্তি দেবে।

পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে প্রবীরবাবু এবং অসীমাদেবী বারবার মৃতের পরিবার এবং স্থানীয়দের ঠান্ডা করার জন্য আশ্বস্ত করতে থাকেন। তাঁরা জানান, এ খবর ওপরতলা অব্দি পৌঁছেছে। এর একটা বিহিত হবেই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁরা আজ দেখা করতে এসছেন এখানে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরপর তাঁরা এটাও বলেন যে পুলিশ প্রশাসনদের তাঁরা বলবেন যাতে অভিযুক্তরা জলদি ধরা পড়েন এবং তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়। এই আশ্বাসবাণী শুনেই তাঁরা তাঁদের ক্ষোভ কমান। তবে জানা গেছে,এদিন পুলিশি তদন্তের জেরে ধরা পড়েছে প্রাক্তন প্রধান চিত্তরঞ্জন সাঁতরা। তবে বাকিদের এখনো হেফাজতে নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!