এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > তৃণমূল নেতা খুনে নয়া মোড়! অভিযুক্তের তালিকা বিজেপির পাশাপাশি হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার নাম

তৃণমূল নেতা খুনে নয়া মোড়! অভিযুক্তের তালিকা বিজেপির পাশাপাশি হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার নাম

তৃণমূল নেতা খুনে এবার অভিযুক্ত হলেন আরেক তৃনমূল নেতা। যে ঘটনায় এখন প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বর্ধমানের কালনায়। বস্তুত, গত শুক্রবার রাতে দলের কাজ সেরে সাড়ে আটটা নাগাদ বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে খুন হতে হয় কালনা 1 পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি কর্মাধ্যক্ষ ইনসান মল্লিককে। পরবর্তীতে তাকে প্রথমে কালনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে, পরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। আর কলকাতায় যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় এই তৃণমূল নেতার।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকেই দায়ী করা হয়। পাশাপাশি শাসকদলের নেতা খুনে বিজেপির বেশ কয়েকজনকে কাঠগড়ায় তোলা হয় মৃতের পরিবারের তরফে। জানা যায়, গত শনিবার রাতে নিহত তৃণমূল নেতার ভাই রাজীব মল্লিক কালনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

যেখানে তৃণমূল নেতা রাজকুমার পান্ডে, তৃণমূল কর্মী চঞ্চল সিংহ রায়, বিজেপির হারান শেখ, আয়ুনবি শেখ, মিলন ঘোষ, বাবর মল্লিক, নাজির শেখ এবং খোকন মল্লিকের নাম উল্লেখ করা হয়। আর তৃণমূল নেতা খুনে তার পরিবার, পরিজনরা তৃণমূলেরই নেতা রাজকুমার পান্ডের নাম অভিযোগের খাতায় দিয়ে দেওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে রাজকুমার পান্ডে বাদে বাকি যাদের নাম অভিযুক্ত হিসেবে মৃতের পরিবার দাবি করেছে, তাদের সঙ্গেও আগে তৃণমূলের যোগ ছিল বলে মত একাংশের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বাসিন্দাদের অনেকে বলছেন, হারান শেখ, আয়ুনবি শেখ, নিজাম মল্লিক আগে তৃণমূল কংগ্রেস করত। কিন্তু পরে তাদের সাথে মৃত তৃণমূল নেতা ইনসান মল্লিকের বিবাদ সংগঠিত হয়। আর তারপরেই লোকসভা নির্বাচনের পর এই সমস্ত অভিযুক্তরা বিজেপিতে নাম লেখান। ফলে সেদিক থেকে এই ঘটনা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়েই ঘটানো হয়েছে বলে অনুমান করছে অনেকে। তবে বর্তমানে তৃণমূল নেতা রাজকুমার পান্ডেকে এই খুনের ঘটনায় কাঠগোড়ায় দাঁড় করানোয় নানা মহলে নানা শোরগোল তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের কিষান সেলের সভাপতি ছিলেন এই রাজকুমার পান্ডে। এদিন তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তা সম্ভব হয়নি‌। তবে এই প্রসঙ্গে কালনা 1 ব্লক তৃনমূলের সভাপতি উমাশঙ্কর সিংহ রায় বলেন, “বিরোধীরাই ইনসানের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবে লড়তে না পেরে তাকে খুন করেছে। পুলিশ তদন্ত করবে। কেউ দোষী হলে অবশ্যই শাস্তি পাবে।” যদিও বা তৃণমূলের তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে বিজেপি।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি ধনঞ্জয় হালদার বলেন, “ওর পরিবারের লোকজনই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বলছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঢাকতে আমাদের কয়েকজন কর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। রাজনৈতিক ভাবে আমরা তাদের পাশে আছি।” তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে তৃণমূল নেতা খুনে বিজেপি নেতৃত্বের পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বের নাম উঠে আসছে, তাতে এখানে যে তৃণমূল তীব্র অস্বস্তিতে পড়তে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!