গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়লেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা শ্যামাশঙ্কর রায়, পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পালিয়ে কোনোরকমে প্রাণে বাঁচলেন তিনি এদিন এমনটাই ঘটেছে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার জেমুয়া গ্রামে।এদিন স্থানীয় বাসিন্দারা ঘেরাও করে ওই তৃণমূল নেতাকে এরপর পালিয়ে গিয়ে আতঙ্কে ওই নেতা লুকিয়ে পড়লেন জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। করোনা নিয়ে গুজবের জেরেই গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়েন ওই তৃণমূল নেতা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার, এক ৯ মাসের শিশুকে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষায় পাঠানো হয়। শিশুটির নমুনার রিপোর্ট আসার আগেই ওই শিশু করোনা পসিটিভ এমন খবর ফেসবুকে শেয়ার করে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা শ্যামাশঙ্কর রায়। যার ফলে খবরটি ভাইরাল হয়ে যাই আর এই খবরে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। শুধু তাই নয়, শিশুটির পরিবারকেও এর ফলে একঘরে করার উপক্রম শুরু হয়। সাথেই ওই এলাকার বাসিন্দাদের ব্রাত্য করে দেয় অন্যান্য এলাকার মানুষজন। ওই এলাকার অনেক বাসিন্দাই ঘরে ঘরে গিয়ে মাছ, শাক সব্জি বিক্রি করেন। করোনার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই তাঁদের অন্যান্য এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। ফলে তাঁদের জীবিকায় সমস্যা দেখা দেয়। প্রায় একঘরে করার উপক্রম শুরু হয়।

কিন্তু গতকাল ওই শিশুটির পরীক্ষার রিপোর্ট এলে দেখা যায় শিশুটি করোনা নেগেটিভ। আর তারপরেই উত্তেজনা বাড়ে গ্রামে।এদিকে খবর ছড়িয়ে পড়ার ফলে অনেকেই শিশুটির ওই নতুন রিপোর্টে ভরসা করেননি, বিশ্বাস করছেন না। ফলে সমস্যা আরো বেড়েছে বৈ কমেনি। এদিকে এই সব কিছু ওই তৃণমূল নেতার পোস্টের কারণেই হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে মানুষজনের। আর এরপরেই এদিন দুপুরেই ওই তৃণমূল নেতার বাড়ি ঘেরাও করেন এলাকাবাসী। ভয়ে গ্রামের পঞ্চায়েত অফিসে আশ্রয় নেয় ওই তৃণমূল নেতা।

গ্রামবাসীদের দাবি, যেভাবে সোশাল মিডিয়ায় করোনা পজিটিভের খবর ছাড়ানো হয়েছে, একইভাবে নেগেটিভ রিপোর্টের খবরও ছড়াতে হবে। অপরদিকে উত্তেজনার খবর পেয়েই সেখানে আসে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশবাহিনী। কিন্তু গ্রামবাসীদের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়ায় ঘটনাস্থলে আসে কমব্যাট ফোর্স সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। আর তারপরেই ওই তৃণমূল নেতাকে উদ্ধার করে পুলিশ।