এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বেফাঁস মন্তব্যে রাশ টানতে এবার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য নয়া পদক্ষেপ পিকের

বেফাঁস মন্তব্যে রাশ টানতে এবার তৃণমূলের নেতাকর্মীদের জন্য নয়া পদক্ষেপ পিকের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন সময় দলের নানা নেতাকর্মী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা দলের বিরুদ্ধে এমন সব মন্তব্য করছেন, যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির। তাই এই পরিস্থিতিতে বেফাঁস মন্তব্যে রাশ টানতে দলের বক্তব্য জানানোর জন্য নতুন করে রোস্টার তৈরি করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি রোস্টার প্রকাশ করা হয়েছে।

যেখানে জানানো হয়েছে, বেলা 12 টা থেকে বিকেল 4 টে পর্যন্ত তৃণমূল ভবনের মিডিয়া সেন্টারে বেশ কিছু নেতারা রাজনৈতিক বিষয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তাদের বক্তব্য জানাবেন। জানা গেছে, সোমবার এবং শুক্রবার শুখেন্দু শেখর রায়, বৃহস্পতি ও শনিবার বিশ্বজিৎ দেব, মঙ্গলবার মন্ত্রী শশী পাঁজা, বুধবার ওমপ্রকাশ মিশ্র, বৃহস্পতিবার নির্বেদ রায় এবং শনিবার নাদিমুল হক তাদের বক্তব্য পরিবেশন করবেন।

বস্তুত, বর্তমানে সিঙ্গুর থেকে শুরু করে নন্দীগ্রাম, এমনকি কোচবিহার বিভিন্ন জায়গায় দলের নানা জনপ্রতিনিধিরা প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে শুরু করেছেন। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের নানা জনপ্রতিনিধিদের এই ধরনের বেফাঁস মন্তব্য নিয়ে হাতিয়ার করে পাল্টা ময়দানে নেমে পড়ছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে গোটা ব্যাপারটিকে নিজেদের বাগে আনতে নিয়ম শৃংখলার মধ্যে দিয়ে মিডিয়া সেন্টারে কারা কারা বক্তব্য রাখবেন, তার তালিকা প্রকাশ করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থ্যাৎ এই নির্দিষ্ট নেতাদের বাইরে অন্য কেউ দলের সম্পর্কে যে কোনো কিছু বলতে পারবে না, তা কার্যত স্পষ্ট। একাংশ বলছেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে রয়েছে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক। নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা যদি প্রকাশ্যে দল বিরোধী মন্তব্য করতে শুরু করেন, তাহলে তা নিঃসন্দেহে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং বিদ্রোহী মনোভাবকে দমানোর জন্য এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে বিজেপি উঠে পড়ে লেগেছে বাংলার ক্ষমতা দখলের জন্য। প্রায়শই দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূলের অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। এক্ষেত্রে তৃণমূলের বেশকিছু হেভিওয়েট নেতা থেকে শুরু করে বিধায়ককে নিয়ে বর্তমানে জল্পনা তীব্র হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের ভেতরকার পরিস্থিতি সম্পর্কে যদি কেউ বাইরে এমন কোনো মন্তব্য করেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে অস্বস্তিতে পড়ে শাসকদল, তাহলে তা নির্বাচনের আগে খুব একটা ভালো হবে না তৃণমূলের পক্ষে।

 

আর তাই সেই দিকটিকে মাথায় রেখে এবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হল। তবে অতীতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই রকম অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও দলের অনেক নেতা প্রকাশ্যে বেফাঁস মন্তব্য করতে বিরত থাকেননি। যার ফলে তৈরি হয়েছিল সমস্যা। কিন্তু এবার নির্বাচনের আগে এই ব্যাপারে রোস্টার তৈরি করে দেওয়ার পর নেতাদের হুশ আদৌ ফেরে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!