এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা >   তৃণমূল সাংসদ ঘনিষ্ঠদের হাতে নিগৃহীত তৃণমূলের মন্ত্রী! “ফায়দা” নিতে আসরে বিজেপি-কংগ্রেস

  তৃণমূল সাংসদ ঘনিষ্ঠদের হাতে নিগৃহীত তৃণমূলের মন্ত্রী! “ফায়দা” নিতে আসরে বিজেপি-কংগ্রেস


 

তৃণমূলে যে গোষ্ঠী কোন্দল রয়েছে, তা প্রায় সকলেরই জানা। কিন্তু নিচুতলার সেই গোষ্ঠী কোন্দল যে একেবারে মন্ত্রী-সাংসদের কোন্দলে দাঁড়াবে এবং তাতে মন্ত্রী নিগৃহীত হবেন তা কারোরই কল্পনায় ছিল না। কিন্তু কল্পনা এবং বাস্তব তো আলাদা। দলীয় স্তরে বারবার শৃংখলার বার্তা দিলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই বার্তা কাজে দিচ্ছে না। এবার কলকাতা পৌরসভার 88 নম্বর ওয়ার্ডের সাহানগর রোডে দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ তথা কাউন্সিলর মালা রায় বনাম রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীদের তীব্র কোন্দল লক্ষ্য করা গেল। যাকে নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে আলো বন্ধ করা নিয়ে সন্ধ্যাবেলা থেকেই বাসিন্দারা তীব্র প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন। অভিযোগ, সিনেমা দেখার জন্য বিদ্যুৎমন্ত্রী অনুগামীরা সারা এলাকার আলো বন্ধ করে রাখেন। আর এতে বাসিন্দারা সমস্যায় পড়লে প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও কারও কথায় কান দেয়নি মন্ত্রীর অনুগামীরা। এদিকে এরপরই দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ তথা কাউন্সিলারের অনুগামীদের হাতে নিগৃহীত হন রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলে অভিযোগ।

আর তৃণমূলের দুই হেভিওয়েটের দ্বন্দ্বের লড়াইয়ে এবার ফায়দা তুলতে আসরে নামতে দেখা গেল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান সেই শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে তার সুস্থতা কামনা করেন। পাশাপাশি তার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথাও বলেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি কথা বলার মত অবস্থায় নেই। আমি মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আমার গায়ে হাত তোলা হয়েছে। মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।” অন্যদিকে এই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলর তথা সাংসদ মালা রায়ের অনুগামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে তা অস্বীকার করেছেন মালাদেবী।

তিনি বলেন, “এলাকার মানুষ প্রতিটি ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন। তাঁরা দেখেছেন কে কার গায়ে হাত দিয়েছেন। কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কুৎসা করা আমি পছন্দ করি না।” তবে মালা রায় যে কথাই বলুক না কেন, তৃণমূলের প্রবীণ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় নিগৃহীত হওয়ায় এদিন যেভাবে বিরোধীরা তার পাশে দাঁড়াল, তাতে তারা তৃণমূলের অস্বস্তিকে বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন শোভনদেববাবুর বাড়ি গিয়ে তার শরীরের খোঁজখবর নিয়ে শাসক দলের গঠনতন্ত্র নিয়ে সরব হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। এদিন এই প্রসঙ্গে আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “মঙ্গলবার রাতের ঘটনা শাসক দলের অভ্যন্তরীণ অবস্থাকে প্রকট করে দিয়েছে। দলের প্রবীণরা যে কতটা সংকটে, তা এই ঘটনা থেকে প্রমাণিত।” একইভাবে রাজ্যের প্রবীন মন্ত্রী নিগৃহীত হওয়ার তৃণমূলের বিরুদ্ধে টুইট করে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।

এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, “যে দলের নিজেদের মধ্যে কোনো সমন্বয় নেই, সেই দল কিভাবে গণতন্ত্র রক্ষা করবে! মন্ত্রী ও সাংসদের অনুগামীরা যেভাবে ঝামেলা করল এবং মন্ত্রী নিগৃহীত হলেন, তাতে রাজ্যের কি অবস্থা, সেটা সহজেই বোঝা যায়।” সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে এই ঘটনার বিচার চেয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। আর যদি তিনি সঠিক বিচার না পান, তাহলে তিনি অন্য কিছু ভাববেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর শাসক দলের শীর্ষ দুই নেতা নেত্রীর এই অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিরোধীদের এইভাবে ঝাঁপিয়ে পড়াকে রাজনৈতিক মহল একটু অন্য চোখেই দেখছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এই নিগৃহীত হওয়াতে বিরোধীরা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে ফায়দা তুলতেই ব্যস্ত। আর শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলে বিরোধীদের এইভাবে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়া তৃণমূলের অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে দেবে বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!