দুই বিদায়ী সাংসদ ও তৃনমূলের লোকসভার প্রার্থীর বিজেপিতে যোগদান নিয়ে মুখ খুললেন এক বিদায়ী সাংসদ তথা লোকসভা ভোটের প্রার্থী কলকাতা রাজ্য May 22, 2019 লোকসভা ভোটের প্রচারে রাজ্যে এসে তৃণমূলের 40 জন বিধায়ক তার সাথে যোগাযোগ রাখছেন বলে মন্তব্য করে শোরগোল তুলে দিতে দেখা গিয়েছিল ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। পাশাপাশি বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য তথা হেভিওয়েট বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও দাবি করেছিলেন, “ভোটের পরে তৃণমূলের সরকার ভেঙে পড়বে এবং অনেক বিধায়ক বিজেপিতে যোগদান করবে।” আর এনিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে যখন তীব্র মাত্রায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ছে, ঠিক তখনই সপ্তম তথা শেষ দফার নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরই একের পর এক এক্সিট পোল প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। যেখানে আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায় বাংলায় 42 টি লোকসভা আসনের মধ্যে 11 থেকে 22 টি আসন যেতে চলেছে বিজেপি ঝুলিতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও বা এই এক্সিট পোলকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরই একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের তরফে খবর প্রকাশ করা হয় যে, দুই বিদায়ী সাংসদ ও তৃনমূলের লোকসভার প্রার্থী ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরই যোগ দিতে চলেছে বিজেপিতে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও তীব্র সোরগোলের সৃষ্টি হয়। তবে এবার এই সমস্ত বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ তথা দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায়। এদিন তিনি বলেন, “এটা সম্পূর্ণ অসত্য খবর। ভোটে লড়াই করার পরে কেন কেউ অন্য দলে যাবে! আসলে এসব বলে তৃণমূলের মনোবলকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।” তবে সমালোচক মহলের একাংশ বলছেন, যদি তৃণমূল প্রার্থী সৌগত রায় এই ব্যাপারে নিশ্চিতই থাকেন তাহলে মনোবল ভেঙে দেওয়ার দাবি করছেন কেন! তাহলে কি তলায় তলায় তার মনেও সন্দেহ রয়েছে যে, বাংলায় যদি গেরুয়া ঝড় ওঠে, তাহলে অনেক তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা, সাংসদ ও বিধায়করা পদ্মফুলে নাম লেখাতে পারেন! তবে কি হবে, তা সময়ই বলবে। আর তার জন্য অপেক্ষা রাখতেই হবে আগামীকাল গণনাবাক্স খোলা পর্যন্ত। আপনার মতামত জানান -