পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্যবসায়ী খুন জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর,মাঠে সুব্রত,মানস থেকে কৈলাশ বিজয়বর্গীয় রাজ্য September 28, 2018 লোকসভা নির্বাচন যতো এগিয়ে আসছে ততোই যেন নানান ইস্যুকে কেন্দ্র করে তৃণমূল বনাম বিরোধীদের লড়াই আরো বেড়ে যাচ্ছে রাজ্যে। কখনো পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে নিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব,দলীয় কর্মী খুন, কখনো আবার সেতু বিপর্যয় তা নিয়ে যু্যুধান গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে কাদা ছোঁড়াছুড়ির অন্ত নেই। কখনো আবার শিক্ষক নিয়োগের দাবী করলে পুলিশের গুলিতে প্রাণ দিতে হচ্ছে আন্দোলনকারী তরুণ প্রজন্মদের। তাতে রাজনীতির রং লাগিয়ে তৃণমূল বিজেপি একে অন্যকে আক্রমণ শানাচ্ছে। রাজ্যসরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ২৬ সেপ্টেম্বর ১২ ঘন্টার বাংলা বনধও পালন করে বিজেপি। শান্তিপূর্ণভাবে বনধ করার প্রতিশ্রুতি দিলেও ওদিনই যথেষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল গোটা রাজ্যে। সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করা থেকে শুরু করে সরকারি বাস ভাঙচুর,বাসে আগুন লাগানো ইত্যাদি তো ছিলই। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির শিকার হলেন এক ব্যবসায়ী। গুলবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল তাঁর বনধের দিনই। সেটা নিয়ে আবার বাংলায় রাজনীতি শুরু হয়েছে। রাজ্যবিজেপি ওদিন বনধ তুলে নেয় বিকাল ৪ টে নাগাদ। তার ঠিক দু ঘন্টার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হন পশ্চিমমেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির খাজরা বাজারের ব্যবসায়ী বিভুরঞ্জন দাস। বুধবার সন্ধেয় একটি স্কর্পিও গাড়িতে করে এসে জনাকয়েক দুষ্কৃতী এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়লে ওই পানব্যবসায়ীর গায়ে লাগে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও প্রাণ বাঁচানো যায়নি। এমনটাই জানা গিয়েছে। তৃণমূল সমর্থক হিসাবে এলাকায় পরিচিতি ছিল মৃত বিভুরঞ্জন দাস। সেটা জানতে পেরেই একে একে তাঁর বাড়িতে হাজির হন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি এবং সাংসদ মানস ভুঁইয়া। দলীয় কর্মীকে সম্মান জানাতে তাঁর মরদেহকে তৃণমূলের জোড়াফুলের পতাকায় মুড়ে দেওয়া হয়। মরদেহ মিছিলেও হাঁটেন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতারা। সেখান থেকেই এই ব্যবসায়ী খুনের অভিযোগ তোলা হল বিজেপির বিরুদ্ধে। বাইরে থেকে দুষ্কৃতি এনে তাঁদের কর্মী খুন করেছে বিজেপি,এমনটাই অভিযোগ তুলেছেন সুব্রত বাবু। বিজেপির ডাকা বনধের দিন ব্যবসায়ী বনধ সমর্থন না করে দোকান খুলে রাখায় খুন করা হয়েছে তাকে,দাবী তৃণমূলের অবে এ অভিযোগে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সঙ্গে তৃণমূলের ‘চর্বিত চর্বণ’ বলেও কটাক্ষ করলেন তিনি। পাল্টা অভিযোগ জানিয়ে বললেন, রাজ্যজুড়ে চাপের রাজনীতি করছে তৃণমূল। কোনো কর্মী খুন হলেই অমনি বলা হচ্ছে তাঁদের দলের লোক। আসলে রাজ্য বিজেপির উত্থানই তৃণমূলের ভয়ের কারণ হয়েছে। তাই আতঙ্কে রয়েছে মা-মাটি-মানুষের শিবির। কেশয়াড়িতে ব্যবয়াসী খুনের জেরে অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগের জেরে রীতিমতো থমথমে হয়ে আছে এলাকা। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে ন্যায্যবিচারের দাবীতে বিরোধীরা সরব হলেও এখনো দোষীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অথচ খুনের ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। শাসকদল হোক বিরোধীরা সকলেই অভিযোগের আঙুল পরস্পরের দিকে তাক করে রেখেছে। ইসলামপুরের ছাত্র হত্যার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার পর থেকেই বাংলার রাজনৈতিক দলগুলো হিংসার নেপথ্যে কার হাত আছে সেটা প্রমাণেই ব্যস্ত। এবং এটাকে হাতিয়ার করেই ক্ষমতা দখলের লড়াই-এ মেতেছে বিবাদমান গোষ্ঠীগুলো। কখনো বনধ,কখনো মিছিল,কখনো বিক্ষুব্ধ জনসমাবেশ এসবের জেরে উত্তেজনার আগুনে কেবল হাওয়া লাগছে এ বাংলায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার বদলে ক্রমশ প্রতিকূল হচ্ছে। লোকসভা ভোট পর্যন্ত এ অবস্থা আরো ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কাই করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -