তৃনমূলকে “পাগলা কুকুর” বলে অশ্লীল আক্রমণ বিজেপির, পাল্টা দিলেন অনুব্রত কলকাতা মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য June 24, 2019 বঙ্গ রাজনীতিতে অশ্লীলতার রেওয়াজ যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না। লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যত উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে, ততই একে অপরকে উদ্দেশ্য করে কটূক্তিও করতে শুরু করেছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবির। এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে “পাগলা কুকুর” বলে অভিহিত করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। বস্তুত, এতদিন বীরভূম জেলায় বিভিন্ন সময় বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে উঠে আসতে দেখা গেছে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু এবার ভোটের ফলাফলের পর তৃণমূলের কিছুটা ভরাডুবি হওয়ায় সেই অনুব্রত মণ্ডল আড়ালে চলে গেলে কুকথা বলে খবরের শিরোনামে চলে এলেন এখানকারই বিজেপি সভাপতি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, এদিন বীরভূমের এক জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা বিজেপির সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে হেরে যাওয়ার পর তৃণমূল ক্ষ্যাপা কুকুরে পরিণত হয়েছে। দিনের বেলা না পারলে রাতে কামড়ানোর চেষ্টা করছে। কুকুরের জন্য মুগুর লাগে। তাই সাথে মুগুর রাখবেন। কামড়াতে এলেই উপযুক্ত জবাব দেবেন।” এদিকে শাসক দলকে পাগলা কুকুরের সঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি তুলনা করায় তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলে তার পাল্টা জবাব দিয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এদিন তিনি বলেন, “রামকৃষ্ণ বাবু নিজেই মুগুরটা তুলে নিন না। কর্মীদের আদেশ দিয়ে নিজে কি ঠান্ডা করে বসে থাকবেন!” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, রাজনীতিতে তরজা থাকবে, কিন্তু কুকথা সত্যিই বেমানান। যে বাংলায় রবীন্দ্রনাথ, ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের মত মনীষীরা জন্মেছেন, সেখানে সমাজ সেবা করতে গিয়ে রাজনীতির কারবারীরা যদি একে অপরের বিরুদ্ধে এইরকম কথা বলতে থাকেন, তাহলে বাংলা সম্পর্কে কী বার্তা যাবে সর্বত্র! তা নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। আপনার মতামত জানান -