এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃনমূলের প্রভাবশালী নেতা দলের বিরুদ্ধেই নেট দুনিয়ায় ঘটালেন একের পর এক বিস্ফোরণ! শুরু চর্চা

তৃনমূলের প্রভাবশালী নেতা দলের বিরুদ্ধেই নেট দুনিয়ায় ঘটালেন একের পর এক বিস্ফোরণ! শুরু চর্চা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের সবথেকে বড় বিরম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছেন তৃণমূলের নেতারাই। বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক সাংগঠনিক রদবদল হলেও নানা নেতাদের প্রতিক্রিয়া নিঃসন্দেহে অস্বস্তিতে ফেলছে ঘাসফুল শিবিরকে। এবার সাংগঠনিক রদবদলের পর বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত মিত্রের বিস্ফোরক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। যেখানে দলের সঠিক কর্মীদের যোগ্য জায়গা দেওয়া হচ্ছে না বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিওতে অভিযোগ করেছেন এই তৃণমূল নেতা।

সূত্রের খবর, এদিন খাতরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত মিত্র বলেন, “ছাত্র থেকে যুব, যারা রাস্তায় পড়ে থেকে দলের জন্য কাজ করছে, তাদের যথার্থ মূল্যায়ন হচ্ছে না। পার্টিটা কিছু লোকের হাতে চলে যাচ্ছে। এটা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে হয়ে যায়। তারা আপ্রাণ চেষ্টা করছে কাজের লোককে সরিয়ে দিয়ে এই ধরনের লোকজনকে বসিয়ে দিতে। যাতে দলটা কিছুটা কমজোরি হয়ে যায়। আমাদের চোখ কান খোলা রেখে কাজ করতে হবে।”

তবে শুধু এই মন্তব্য করেই ক্ষান্ত হননি জয়ন্তবাবু। সাথে সাথে তিনি বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী শ্যামল সাতরার বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন। স্বভাবতই তার এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদল বাকুড়ায় ব্যাপক চাপে পড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেভাবে জয়ন্তবাবু তাদের বিরুদ্ধে এবং জেলায় দল পরিচালনা নিয়ে মন্তব্য করলেন, তাতে তো তারা প্রবল চাপে পড়লেন! এদিন এই প্রসঙ্গে জয়ন্ত মিত্রের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী শ্যামল সাতরা। তিনি বলেন, “ভাইরাল হওয়া ভিডিও আমার কাছেও এসেছে। বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। বিধায়ক জ্যোৎস্না মান্ডি বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে দলকে জানিয়েছি। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তারাই নেবে। আলাদা করে আমার কিছু বলার নেই।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে। আর তারপর সাংগঠনিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে তৃণমূল এখানে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে‌। কিন্তু তৃণমূল ভালো ফল করতে চাইলেও যেভাবে দলের পরিচালনা নিয়ে সরব হলেন দলের হেভিওয়েট নেতা, তাতে শাসকদল এখানে ব্যাপক চাপে পড়বে বলেই মনে করছেন একাংশ।

শুধু তাই নয়, এই গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলকে সামনে তুলে ধরে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দেবে বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দলের পরিচালনা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে যেভাবে দলকে বিপাকে ফেললেন জয়ন্ত মিত্র, তাতে তার বিরুদ্ধে তৃনমূল কোনো কড়া পদক্ষেপ নেয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!