এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের শহীদ দিবসের পোস্টারে হেভিওয়েট মন্ত্রীর ছবি! প্রকৃত শ্রদ্ধা নিয়ে জোর বিতর্ক!

তৃণমূলের শহীদ দিবসের পোস্টারে হেভিওয়েট মন্ত্রীর ছবি! প্রকৃত শ্রদ্ধা নিয়ে জোর বিতর্ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ঘটা করে প্রতিবছর একুশে জুলাইয়ের শহীদদের সম্মান জানাতে ধর্মতলায় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঐতিহাসিক সমাবেশ করা হয়। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে তা সেভাবে করা সম্ভব হয়নি। ভার্চুয়াল জনসভার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই ভার্চুয়াল জনসভা প্রতিটি বুথে বুথে ভিডিওর মাধ্যমে দেখানো হচ্ছে।

কিন্তু এবার এই শহীদ সমাবেশের প্রচার করতে গিয়ে রীতিমত বিতর্কে জড়িয়ে পড়ল তৃনমূল কংগ্রেস। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের একটি পোস্টারে “শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন” লেখা রয়েছে। আর তার নীচে রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং দক্ষিণ দমদম পৌরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায়ের ছবি। স্বাভাবিক ভাবেই এই পোস্টারকে কেন্দ্র করে এবার তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

যেখানে শহীদ দিবসের অনুষ্ঠান এবং তার প্রচার, সেখানে কেন দুই জনপ্রতিনিধির ছবি থাকবে! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, 1993 সালের একুশে জুলাই সচিত্র পরিচয় পত্রের দাবিতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন তৎকালীন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিযোগ, তৎকালীন বাম সরকারের পুলিশ নির্বিচারে যুব কংগ্রেস কর্মীদের উপর গুলি চালায় এবং প্রাণ হারান 13 জন যুব কংগ্রেস কর্মী। আর তারপরেই থেকেই সেই সমস্ত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের কর্মসূচি শুরু হয়।

পরবর্তীকালে তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠন করে ধর্মতলায় প্রতিবছর এই দিনটিকে বেছে নিয়ে শহীদদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি রাজনৈতিক বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের কারণে সেই সমস্ত কর্মসূচি বন্ধ রয়েছে। ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের বার্তা দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তার প্রচারে যেভাবে শহীদদের নাম এবং তাদের ছবি না দিয়ে এক মন্ত্রী এবং এক চেয়ারম্যানের ছবি দেওয়া হল, তাতে রীতিমত ক্ষিপ্ত বিশেষজ্ঞদের একাংশ। ইতিমধ্যেই এই বিষয় তুলে ধরে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। বিরোধীদের দাবি, ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেছে, তৃণমূল শুধুমাত্র শহীদদের নিয়ে রাজনীতি করেছে।

শহীদ দিবস হলেও সেখানে ফিল্মস্টারদের আগমন ঘটেছে। নাচাগানা হয়েছে। সেদিক থেকে শহীদরা সম্মান পাননি। আর এই পোস্টারে আবার প্রমাণিত হয়ে গেল যে, তৃণমূলের নেতারাই তাদের সম্পদ। আর তাই শহীদরা সেই পোস্টারে বিন্দুমাত্র জায়গা পেলেন না। জায়গা পেলেন ডাকাবুকো মন্ত্রীরা। এটাই তৃণমূলের শহীদ সমাবেশ! অনেকে আবার বলছেন, এই পোস্টারের মাধ্যমে শাসকদল কি বার্তা দিতে চাইল! যেখানে শহীদদের নাম এবং ছবি থাকা দরকার, সেখানে দুই জনপ্রতিনিধিদের ছবি দিয়ে তারা কি এটা প্রমাণ করল যে, তৃণমূলের এই সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা তাহলে প্রকৃত শহীদ?

স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন তৃণমূল ভার্চুয়াল সভার মাধ্যমে আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এই একুশে জুলাই থেকে বার্তা দিতে চাইছে, ঠিক তখনই সেই শহীদ দিবসের পোস্টার দুই হেভিওয়েট নেতা থাকায় রীতিমতো বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর এই ঘটনাকে ইস্যু করে বিরোধীরা যেভাবে এখন তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে, তাতে নিঃসন্দেহে চাপে শাসক দল।

সব মিলিয়ে এখন বিতর্কিত এই পোস্টারের পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীদের কটাক্ষের জেরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সমগ্র রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!