এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > করোনা আবহে দেখা নেই বিধায়কের, সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি! ক্ষোভ-অসন্তোষ বাড়ছে শাসকদলের অন্দরেই!

করোনা আবহে দেখা নেই বিধায়কের, সুযোগ নিচ্ছে বিজেপি! ক্ষোভ-অসন্তোষ বাড়ছে শাসকদলের অন্দরেই!


ভয়াবহ সংকটের মুহূর্তে মানুষ জনপ্রতিনিধিদের পাশে চান। একদিকে দুর্যোগ, অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের সময়ে সকলেই আশা করছেন, তাদের ভোট দিয়ে জেতানো নেতাদের পাশে পেতে। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত নেতাকর্মী এবং জনপ্রতিনিধিদের মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেও, নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে দেখা নেই ঝাড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার হাসদার।

যা নিয়ে এখন যেমন বিরোধীরা তাদের সুযোগ নিতে শুরু করেছে, ঠিক তেমনই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। জানা গেছে, দলের নির্দেশ অনুযায়ী এখন প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়করা করোনা এবং ভয়াবহ দুর্যোগের সময় তৃণমূল কিভাবে মানুষের পাশে থেকেছে, তা নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছেন। সেদিক থেকে ঝাড়গ্রামের তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার হাসদা নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে না থেকে কলকাতা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই সাংবাদিক বৈঠক করেন বলে খবর।

যার ফলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। কেন সুকুমার বাবু জনপ্রতিনিধি হওয়া সত্ত্বেও, সংকটের সময় ময়দানে নামছেন না! এর ফলে তো আদতে বিরোধীরা তাদের বাড়তি সুবিধা নিয়ে নেবে! এখন এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ। যদিও বা এই প্রসঙ্গে সুকুমারবাবুর পাল্টা দাবি, তার বয়স হয়েছে। করোনা ভাইরাস সংকটকালে তাই তিনি গৃহবন্দি রয়েছেন। তাই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে আসতে পারছেন না।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, “জেলার সব স্তরের নেতা জনপ্রতিনিধিরা গত দুমাস ধরে নানা কর্মসূচি করছেন। কিন্তু আমাদের বিধায়ক সুকুমার হাসদা একবারের জন্যও আসেননি। এলাকাবাসীর কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে। বিরোধীরা অপপ্রচারের সুযোগ পাচ্ছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে আরেক তৃণমূল নেতা বলেন, “সুকুমারদা বিধায়ক হিসেবে লকডাউন পর্বে কিছু করলেন না। এখন উনি সুস্থ। কিন্তু আসার কথা বললেই বলছেন, রেড থেকে গ্রীন জোনে যাওয়া ঠিক নয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে সবমিলিয়ে দলের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন – বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ যখন সংকটে, তখন কেন বিধায়ক হিসেবে তিনি থাকবেন না! এতে ভবিষ্যতে তার বিধানসভা নির্বাচনে লড়ার ক্ষেত্রেও তো সমস্যা তৈরি হতে পারে! সে ক্ষেত্রে মানুষের সমর্থন তিনি পাবেন কি করে? এদিন এই প্রসঙ্গে ফোনে সুকুমার হাঁসদা বলেন, “আমার বয়স 66 বছর। করোনা-কালে বয়স্কদের সাবধানে থাকতে হবে। তাই কলকাতায় ঘরবন্দি আছি। তবে জেলায় ও বিধানসভা এলাকায় সবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করছি। কে কি বলল, তাতে কিছু এসে যায় না।”

কিন্তু সুকুমার হাসদা যেভাবে কলকাতায় বসে রয়েছেন এবং যেভাবে বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন না, তাতে অনুগামীদের মধ্যেও তো ক্ষোভ বাড়ছে! এক্ষেত্রে কি দল অস্বস্তিতে পড়বে না! এদের এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী বীরবাহা সোরেন বলেন, “অসুস্থতার জন্য কলকাতায় গিয়ে লকডাউনে সুকুমারবাবু আটকে পড়েছিলেন। এদিন ঝাড়গ্রামে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা ছিল। কিন্তু সম্ভবত অসুস্থতার কারণে উনি ভিডিও অ্যাপে সাংবাদিক বৈঠক করেছেন।”

তবে যে যাই বলুন না কেন, লকডাউনের প্রথম পর্ব থেকে যেভাবে স্থানীয় বিধায়ককে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না, তাতে মানুষের যেমন অসন্তোষ বাড়ছে, ঠিক তেমনই অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূলের নিচুতলার নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। আর এক বছরের মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচন – যেখানে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে করোনা ও আমপান। ফলে, এখন গোটা পরিস্থিতি অনুধাবন করে সুকুমার হাঁসদা কবে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে পা রাখেন, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!