এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতার দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতে দলেরই হেভিওয়েট নেত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ

তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতার দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতে দলেরই হেভিওয়েট নেত্রীকে হেনস্তার অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শীর্ষ স্তর থেকে বারবার দুর্নীতিকে আটকানোর জন্য কড়া বার্তা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দলের গোষ্ঠী কোন্দল যাতে প্রকাশ্যে না আসে, তার জন্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সমস্ত জেলা নেতাদের কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু একদিকে দুর্নীতি এবং অন্যদিকে গোষ্ঠী কোন্দল, এই দুই বিষয় এখন যেন তৃণমূলের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে ক্রমাগত।

এবার ভয়াবহ দুর্যোগের হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে ভেঙে পড়া কিছু গাছ বেআইনি ভাবে কেটে বিক্রির অভিযোগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় আশুতোষ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য শম্পা দাস। আর এতেই রীতিমতো উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। জানা যায়, এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই শম্পাদেবীর বাড়ি।

বৃহস্পতিবার তার বাড়ির গেটের সামনে গাছ পুঁতে যাতায়াতের ব্যাঘাত সৃষ্টি করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আর শম্পাদেবীর বাপের বাড়ির উল্টো দিকে শ্বশুরবাড়ি হওয়ায় শুক্রবার সকালে কিছু ব্যক্তি মুখে গামছা বেঁধে তার শ্বশুর বাড়ির সামনে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে ভয়ে শম্পা দাস এবং তার পরিবার বাড়ি থেকে বের হননি।

ডাকযোগে তারা হরিপাল থানায় এই ব্যাপারে অভিযোগ করেছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে যায় যে, বৃহস্পতিবার স্বামীকে নিয়ে রাজ্য সরকারের সদরদপ্তর নবান্নে অভিযোগ জানাতে চান তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য শম্পা দাস। আর তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদ সদস্যার এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে শম্পা দাস বলেন, “এভাবে কেন হেনস্থা করা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। দলের জেলা সভাপতি ভরসা দিয়েছেন। যারা হামলা করতে আসছে, তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। হাসপাতাল তৈরিতে আমার পরিবার চার বিঘা জমি দান করেছিল। আমার বাবা, দাদুরা নিজের হাতে হাসপাতালে গাছ পুতেছিলেন। সেই গাছ বিক্রির টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে।” এদিকে দলের নেত্রীকে এভাবে হেনস্থা করা নিয়ে মুখ খুলেছেন হুগলি জেলা তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ যাদব।

এদিন তিনি বলেন, “হরিপালের ঘটনা নিয়ে আমি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেছি। শম্পার সঙ্গেও কথা হয়েছে। দলেরই এক বিধায়ক ও প্রধানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দল নজর রাখছে‌।” এদিকে তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে ইতিমধ্যেই শাসক শিবিরকে চেপে ধরেছে বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে আরামবাগ জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “এখন তৃণমূলের মুষলপর্ব চলছে। ওরা দলেরই মহিলা নেত্রীকেই ছাড়ছে না।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, “দলের জেলা পরিষদের সদস্যার যদি এই হাল হয়, তা হলে সাধারণ মানুষ এদের আমলে কোন অতলে দাঁড়িয়ে?” সব মিলিয়ে এবার তৃনমূলের চরম গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে আসায় চরম অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!