বাংলায় গণতন্ত্র! খোদ অভিষেকের কেন্দ্রে বৈশাখীকে ঘিরে ধরে ধর্ষণের হুমকি! আসরে মুকুল রায় নদীয়া-২৪ পরগনা বিশেষ খবর রাজ্য March 11, 2019 বাংলায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির তীব্র ক্ষোভ – পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই! কিন্তু, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা শাসকদলের শীর্ষনেতাদের জবাব ছিল – এসবই নাকি বিরোধীদের চক্রান্ত! বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে উন্নয়ন করেছেন তার উত্তর খুঁজে না পেয়ে ‘কুৎসার’ রাস্তায় হাঁটছেন বিরোধীরা! কিন্তু, গতকাল নির্বাচন ঘোষণা হয়ে যাওয়ার পরেও, দেশজোড়া আদর্শ নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে যাওয়ার পরেও খোদ শাসকদলের ‘যুবরাজ’ তথা অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রে যে ঘটনা ঘটে গেল বলে অভিযোগ, তা সত্যি হলে বঙ্গবাসী হিসাবে লজ্জায় মাথা কাটা যাবে আপনার! কিছুদিন আগেই জল্পনা ছড়ায়, ডায়মন্ড-হারবার কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার জন্য খোদ অমিত শাহের নির্দেশে, বিজেপি নেতা মুকুল রায়, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কলকাতার প্রাক্তন মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বলে পরিচিত বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন। এই ঘটনাকে অবশ্য ‘মিডিয়ার গুজব’ বলে জল্পনা বাড়ান বৈশাখীদেবী! একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য ছিল যে তাঁর সঙ্গে মুকুলবাবুর কথা হয়েছে সেটাও স্বীকার করছেন না বা কথা হয় নি সেটাও দাবি করছেন না! এরপরেই, রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়ায় বৈশাখীদেবী তো বটেই গেরুয়া শিবিরে পদার্পন করতে চলেছেন শোভনবাবুও। কিন্তু, সেই নিয়ে কিছু নিশ্চিত হওয়ার আগেই, এবার রাজ্য-রাজনীতিতে কার্যত বোমা ফাটালেন বৈশাখীদেবী। তাঁর দাবি, তিনি গতরাতে তাঁর মা, কন্যা ও শোভনদার (রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে রায়চকে বেড়াতে যান। সেখানে গতকাল রাত থেকেই একদল দুষ্কৃতী তাঁরা যেখানে আছেন সেই বাড়ি ঘিরে রেখেছে। সকাল থেকেই যাঁরাই ওই বাড়িতে যাচ্ছেন, তাঁদেরই ছবি তুলে রাখা হচ্ছে ও ফোনে কাউকে জানানো হচ্ছে। তবে এখানেই শেষ নয় ওই দুষ্কৃতীদল নাকি বৈশাখীদেবীকে ঘিড়ে ধরে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। ওই দুষ্কৃতীদলের বক্তব্য, তুই আমাদের রক্ত খেয়েছিস, এখন ফুর্তিবাজি করছিস! রেপ করে ফেলে দেব। ডায়মন্ডহারবারে বিজেপির টিকিটে দাঁড়াবি? এত বড় স্পর্ধা! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত বৈশাখীদেবী প্রথমেই যোগাযোগ করেন রামনগর থানার পুলিশকে, কিন্তু পাননি কোনো পুলিশি সাহায্য! পুলিশ নাকি এসে, কাউকে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ না করেই ফিরে চলে যায়। এরপর বৈশাখীদেবী বিডিওকে জানালে, সেখান থেকেও কোনো সুরাহা পাননি। এমনকি, রাজ্য নির্বাচন কমিশনে যোগাযোগ করা হলে, তারাও নিস্পৃহ থেকেছে। বৈশাখীদেবীর স্পষ্ট অভিযোগ, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই! এরপর এই ঘটনার খবর পৌঁছায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের কাছে। সাথেসাথেই তিনি ফোন করেন বৈশাখীদেবীকে। কথা হয় শোভনবাবুর সঙ্গেও। রাজ্যের একজন সদ্যপ্রাক্তন মন্ত্রী ও কলকাতার সদ্য প্রাক্তন মহানাগরিক, যিনি আবার বর্তমানে রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ক – তাঁর ও তাঁর পরিচিতের যদি এই অবস্থা হয়, এইরকম আতঙ্কগ্রস্ত পরিবেশে কাটাতে হয় – তাহলে রাজ্যে যে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই একথা আবারো প্রমাণিত হয়ে গেল। সবথেকে বড় কথা, নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গেছে, অর্থাৎ দেশজোড়া লাগু আদর্শ আচরণবিধি, অথচ যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যেই এক মহিলা অধ্যাপিকাকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে – অথচ নির্বিকার পুলিশ থেকে প্রশাসন থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশন – রীতিমত ক্ষোভে ফুটছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি সাথে সাথেই ডিএম ও এসপিকে ফোন করে, তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেন। একইসাথে স্পষ্ট জানিয়ে রাখেন, রাজ্যের শাসকদলের এক বিধায়কের যদি এই করুন অবস্থা হয়, নির্বাচনী বিধির মাঝেও যদি এইভাবে দুষ্কৃতীরাজ চলে অথচ প্রশাসন ঘুমিয়ে থাকে, তাহলে রাজ্যে যে কিভাবে নির্বাচন হবে এখন থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায়, মুকুলবাবু এবার সরাসরি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। বাংলায় আদর্শ আচরণবিধির সময়েও কিভাবে গণতন্ত্র ভুলুন্ঠিত তা তুলে ধরে এর প্রতিকারের জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করতে চলেছেন। সবমিলিয়ে খোদ রাজ্যের শাসকদলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্রেই নারীনিগ্রহ ও দুষ্কৃতীরাজের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ! আপনার মতামত জানান -