এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের, চমকিত রাজনীতি মহল

তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক কটাক্ষ ও হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের, চমকিত রাজনীতি মহল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ নিউ জলপাইগুড়িতে নেমে জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলেন তিনি। আজ জলপাইগুড়িতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে তাঁর। এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা। বৈঠক শেষে শহীদ সম্মান যাত্রা কর্মসূচিতে যোগদান করবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে স্বাগত জানাতে নিউ জলপাইগুড়িতে এসেছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষ, শিখা চট্টোপাধ্যায়। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গণমাধ্যমে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে একেরপর এক অভিযোগ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেইসঙ্গে দিলেন তীব্র হুঁশিয়ারি।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের আবহ করেছে তৃণমূল। সাংসদেরা কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারছেন না। রাস্তায় নামলে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বাধা দেয়া হচ্ছে। আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত তৃণমূলকে। না হলে আজ যেমন কংগ্রেস ও সিপিএমকে খুঁজতে হচ্ছে। আগামী দিনে এমন অবস্থা হবে তৃণমূলেরও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আরও জানালেন যে, রাজ্যে এখন নব্য তালিবানি শাসন চলছে। পুরুলিয়ার এক সভাধিপতিকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ছবি তুলতে দেখেছেন সকলেই। যা দেখে মনে হচ্ছে এটা যেন কাবুলের ছবি। আগেও এই সভাধিপতির বিরুদ্ধে বিজেপির জেলা সভাপতিকে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এর বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকেই ব্যাবস্থা নেয়া উচিত বলে, জানালেন তিনি।

আবার নিজ দলের প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক পরিবর্তন করা হবে। কারণ অন্য দল থেকে অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করেছেন। তাদেরকে দলের কমিটিতে আনার চিন্তাভাবনা চলছে। দলকে আরও শক্তিশালী করা হবে। গেরুয়া সূত্রে জানা গেছে যে, শুধুমাত্র যে রাজ্য স্তরে সাংগঠনিক রদবদল চলবে, তা নয়। জেলাস্তরেও বড়সড় রদবদলের চিন্তাভাবনা রয়েছে দলের।

আবার গোর্খা নেতা অনিত থাপার নতুন দল গঠন প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, পাহাড়ের মানুষ বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। তাঁরা তাদের কাজ করে দেখান। এদেরকে মানুষ ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। এতে বিজেপির সংগঠনের কোনো ক্ষতি হবে না বলেই, জানালেন তিনি।

আবার, গতকাল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বাংলা ভাগের দাবি সম্পর্কে জানিয়েছেন যে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও উত্তরবঙ্গের কোন উন্নতি হয়নি। চিকিৎসা, শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্যের জন্য অন্যত্র যেতে হয় উত্তরবঙ্গের মানুষকে। কেন ভালো হাসপাতাল নেই? ভালো স্কুল কেন নেই সেখানে? জঙ্গলমহলেরও একই অবস্থা। শালপাতা, কেন্দু পাতা দিয়ে মা-বোনেরা সেখানে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন তাদের চাকরির জন্য যেতে হচ্ছে বাইরে? তিনি প্রশ্ন করেছেন, দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের লাভ পাওয়ার কোনো অধিকার কি তাদের নেই? তিনি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল যদি পৃথক হয়, তবে তার দায় পুরোপুরি মুখ্যমন্ত্রীর। কেন এতদিন এই সব জায়গার উন্নতি করা হয়নি?

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!