এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > তদন্ত শেষ হলেও এখনো চার্জশিট পেশ করতে পারছে না সিবিআই, নারদ কান্ড নিয়ে জলঘোলা ক্রমশ বাড়ছেই!

তদন্ত শেষ হলেও এখনো চার্জশিট পেশ করতে পারছে না সিবিআই, নারদ কান্ড নিয়ে জলঘোলা ক্রমশ বাড়ছেই!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-   তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত নারদ কান্ডে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে চার্জশিট পেশ না করা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই নারদ স্টিং অপারেশনের ভিডিও যে সমস্ত সাংসদকে দেখা গিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। গত বছরের এপ্রিল মাসে লোকসভার অধ্যক্ষের কাছে এই ব্যাপারে আবেদন করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়াও 11 মাস আগে পুলিশকর্তা মির্জার নামে চার্জশিট পেশ করতে চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো হলেও সেই ব্যাপারে কোনো সবুজ সঙ্কেত আসেনি।

স্বাভাবিকভাবেই এই পরিস্থিতিতে নারদ কান্ড নিয়ে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাচ্ছে না বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 2013 থেকে 2020 সাল পর্যন্ত এই নারদ কান্ডে সঙ্গে যে সমস্ত নেতা-মন্ত্রীরা জড়িয়ে রয়েছে, তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ার জন্য এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই আয়কর রিটার্নের প্রতিলিপি তাদের জমা দিতে বলা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই সমস্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন মামলা করতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, গত 2016 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ম্যাথু স্যামওয়েলের স্টিং অপারেশনকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছিল। যেখানে 2014 সালের লোকসভা ভোটে তিনি ছদ্মবেশ রূপ ধারণ করে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে দেখা করে তাদের টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। একাংশ বলেছিলেন, সেই টাকা নারদ নিউজের মালিক এবং তৎকালীন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ কেডি সিংহ দিয়েছিলেন। তবে কেন নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ এই ধরনের চক্রান্ত করলেন, তা নিয়ে তখন থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এই নারদ কান্ডে সঙ্গে যে সমস্ত ব্যক্তির নাম জড়িয়ে পড়েছিল, তাদের অনেকেই সাংসদ কেডি সিংহের ঘনিষ্ঠ ছিলেন না। জানা গেছে, নারদ কান্ডে অভিযুক্তদের মধ্যে মুকুল রায় এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় বর্তমানে বিজেপিতে রয়েছে। অন্যদিকে সুলতান আহমেদ মারা গিয়েছেন। মদন মিত্র আগের মত তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় নেই। একইভাবে অপরুপা পোদ্দারেরও তেমনভাবে গুরুত্ব নেই। একমাত্র ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌগত রায় গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় রয়েছেন।

সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যারা অভিযুক্ত ছিলেন তাদের কাউকে ম্যাথু স্যামওয়েল রশিদ দেননি। কমিশনের পেশ করা হিসেবে কার কাছ থেকে টাকা নেওয়া হয়েছিল, তাও জানানো হয়নি। ইতিমধ্যেই সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্তে উঠে এসেছে তারা আদালতে পেশ করার পরে ফিরহাদ হাকিম শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইকবাল আহমেদ এবং মদন মিত্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে গিয়ে বিধানসভার স্পিকারের অনুমোদন চাওয়া হবে। কিন্তু স্পিকার সম্পূর্ণরূপে নীরবতা পালন করায় গোটা ব্যাপারটি আটকে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে এবার নারদ কান্ডে তদন্ত সম্পূর্ণরূপে আটকে পড়ায় জোর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এখন বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ব্যাপারে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!