এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক ক্রমশ বাড়াচ্ছে বিজেপি, জেলা সভাধিপতি নির্বাচনে একাধিক অঙ্ক শাসকদলের

আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ক ক্রমশ বাড়াচ্ছে বিজেপি, জেলা সভাধিপতি নির্বাচনে একাধিক অঙ্ক শাসকদলের

এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের সব জেলায় নিজেদের বিজয়রথের পতাকা উড়লেও বেশ কিছু জায়গায় মূলত আদিবাসী-প্রধান এলাকাগুলিতে ভালো ফল করেছে বিজেপি। যা নিয়ে লোকসভা নির্বাচনে আগে রীতিমত চিন্তায় শাসকদল তৃনমূল কংগ্রেস বলে ধারণা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

যে আদিবাসী মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়েই ক্ষমতায় এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেই মানুষগুলোই যদি মুখ ফিরিয়ে নেয় তাহলে চাপ বাড়বে শাসকদলের বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের। আর তাই এখন থেকেই জেলায় জেলায় আরও বেশি করে জনসংযোগে জোর দিতে চাইবে শাসকদল বলেই ধারণা সবার।

তবে এরই মাঝে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্ককে ধরে রাখতে নতুন কৌশলি চাল মালদার তৃনমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের। ইতিমধ্যেই বোর্ড গঠনের বিজ্ঞপ্তি জারি হতে না হতেই ঠিক কে এই জেলার জেলা-পরিষদের সভাধিপতি হবেন তা নিয়ে শাসকদলেরই অনেকের মধ্যে ইঁদুর দৌড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সূত্রের খবর, যেহেতু এবার মালদা জেলা পরিষদের পদটি অসংরক্ষিত – কাজেই ফের এই পদে বিদায়ী সভাধিপতি সরলা মুর্মুকেই বসানো যায় কি না তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে শাসকদলের অন্দরে। তবে এই সরলা মুর্মুকে ফের সভাধিপতি করার পেছনে অনেক যুক্তিও তুলে ধরছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

একাংশের মতে, এবারে এই পদটি অসংরক্ষিত থাকায় অনেকেই এই পদ পেতে ছুটোছুটি করতে শুরু করেছেন প্রথমদিন থেকেই। ফলে এক্ষেত্রে নতুন মুখকে না এনে পুরোনো মুখকে রাখলে কোনো সমস্যাই হবে না। আর অপরদিকে এবার এই মালদা জেলায় বিজেপি আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কে বেশ ভালো প্রভাব ফেলেছে। তাই এখানে সেই আদিবাসী সমাজের বিদায়ী সভাধিপতি সরলা মুর্মুকে তাঁর পদে রাখলে তৃনমূলের ভাবমূর্তিতে ধাক্কা খাওয়ারও কোনো আশঙ্কা থাকবে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই দলের কোর কমিটির মঞ্চ থেকে তিনি নিজেই জেলা-পরিষদের সভাধিপতি নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই কথা টেনে তৃনমূলের মালদা জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বাবলা সরকার বলেন, “যদি এই সভাধিপতি পদে একাধিক নাম আসে তবে সেইসবই দলনেত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি যা সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত বলে গন্য হবে”।

এদিকে দ্বিতীয়বারের জন্য ফের নিজের নাম সভাধিপতি পদে ঘোরাফেরা করায় এদিন মালদা জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি সরলা মুর্মু বলেন, “পদে থাকা বা না থাকা বড় বিষয় নয়। তাই দল যা চাইবে তাই হবে”। এখন শেষপর্যন্ত এই মালদা জেলায় কাকে সভাধিপতি পদে বসান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। বিশেষ করে যখন ২০১৬ এর বিধানসভা নির্বাচনে এই জেলায় ভরাডুবি হয়েছিল শাসকদলের – সেইদিকে তাকিয়ে কোন মাস্টারস্ট্রোক দেন দলনেত্রী সেদিকেই তাকিয়ে আপামর তৃণমূল কর্মী-সমর্থক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!