এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > তৃণমূল থেকে আগত নেতার মিলেছে পদ! আদি নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের গনগনে আচের মুখে দিলীপ-লকেট!

তৃণমূল থেকে আগত নেতার মিলেছে পদ! আদি নেতা-কর্মীদের ক্ষোভের গনগনে আচের মুখে দিলীপ-লকেট!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার পর দলে অন্যান্য দল থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের ভিড় বাড়তে শুরু করে। একের পর এক নেতা কর্মীদের দৌরাত্ম্য বৃদ্ধি হওয়ায় বিজেপির পুরনো দিনের নেতাকর্মীরা কার্যত কোণঠাসা হয়ে গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করে দলের অন্দরে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল বাড়তে শুরু করে। কিন্তু এবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে পেয়ে বিজেপি কর্মীরা তাদের ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করলেন।

সূত্রের খবর, বুধবার ধনেখালির মদনমোহন তলায় বিজেপির পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ এবং লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে সন্ধ্যা ছটার সময় সেই সভা ছেড়ে দিলীপ ঘোষ এবং রকেটদেবী কলকাতায় যেতেই মাঝপথে দলের বেশ কিছু কর্মী তাদের আটকে ধরে। যেখানে তারা অভিযোগ জানান, ধোনেখালি এবং সমসপুরের মন্ডল সভাপতি যাকে করা হয়েছে, সে তৃণমূলে থাকার সময় বিজেপি নেতাদের ওপর ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।

তাই সেই অজয় কৌলেকে অবিলম্বে তার পদ থেকে সরাতে হবে। নেতৃত্বদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীদের সমস্ত কথা শোনা হবে বলে তাদের শান্ত করা হয়। কিন্তু যেভাবে বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা নেত্রী কর্মী-সমর্থকদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন এবং তৃণমূল থেকে আসা নেতাদের বড়সড় পদ দেওয়ার অভিযোগ উঠল, তাতে বিজেপি ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে আগামী দিনে পুরনো নেতাকর্মীরা আরও ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করবেন এবং তার প্রভাব পড়বে ভোটবাক্সে বলে দাবি করছেন একাংশ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে এক বিজেপি কর্মী বলেন, “আমরা চাই অবিলম্বে মন্ডল সভাপতির পদ থেকে অজয়কে সরানো হোক। তা না হলে বিধানসভা ভোটে এর ফল দলকে ভুগতে হবে।” কিন্তু তাকে নিয়ে এত আপত্তি কেন বিজেপির পুরনো কর্মী-সমর্থকদের? এদিন এই প্রসঙ্গে অজয়বাবু বলেন, “আমি বিজেপির বহুদিনের কর্মী। সেই 2014 সাল থেকে দল করছি। কাজেই কে কি বলছে তাকে আমি গুরুত্ব দিচ্ছি না। লোকসভা ভোটে দলের প্রার্থীকে জেতার জন্য লড়াই করেছি। ধনেখালির মানুষ শেষ কথা বলবেন। কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল, তা তারাই ঠিক করবেন।”

এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে তো বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল যেমন প্রকাশ্যে চলে আসবে, ঠিক তেমনই শাসকদল বিজেপির এই অবস্থা দেখে আরও গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করতে শুরু করবে! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওখানে যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা বিজেপির কেউ নন। তৃণমূলের লোকজন আমাদের বদনাম করার চেষ্টা করছে।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই অভিযোগকে অস্বীকার করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে ধনেখালির তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্র বলেন, “আমাদের দুজন কর্মীর নাম বলতে বলুন, যারা ওই বিক্ষোভ ছিলেন। রাজ্যজুড়ে বিজেপিতে গোষ্ঠী কোন্দল চলছে। ওরা আমাদের উপর সমস্ত দোষ চাপাতে চাইছে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, বিজেপিতে এখন অন্যান্য দল থেকে আসা কর্মী-সমর্থকদের ভিড়ে পুরানো কর্মীরা যে কিছুটা হলেও বঞ্চিত, তা বিভিন্ন জায়গায় দলের একাংশ কর্মীদের বিক্ষোভেই কার্যত পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। আর এদিন দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সামনে যেভাবে বিজেপির একাংশ কর্মীসমর্থকরা বিক্ষোভে সামিল হলেন, তাতে গেরুয়া শিবির আরও চাপে পড়ল বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!