দুর্নীতির বিরুদ্ধে বারবার খড়গহস্ত হতে দেখা গেছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নেতা হিসেবে দুর্নীতির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ভরতপুর 2 ব্লকের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আবু তাহের। যাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, তৃণমূলের ভরতপুর 2 ব্লকের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আবু তাহের বৃহস্পতিবার বিকেলে দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।

অভিযোগ, সেই সময় তার গাড়ি আটকে কিছু দুষ্কৃতী প্রবলভাবে মারধর করে। আর এরপরই সেই তৃণমূল নেতাকে প্রথমে সালার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলে পরবর্তীতে তাকে কান্দি মহকুমা হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে শুধু আবু তাহের নয়, শালার অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি জালু শেখের বাড়িতেও কিছু দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু হঠাৎ কেন বেছে বেছে এই দুই তৃণমূল নেতার ওপর এই হামলা করা হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে আক্রান্ত আবু তাহের বলেন, “দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় আমার উপর হামলা করা হয়েছে।” অন্যদিকে তার বাড়িতে হামলা করা প্রসঙ্গে দলের একাংশের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করেন জালু শেখ। এদিন তিনি বলেন, “আমি ঘুমোতে যাওয়ার সময় চারজন দুটি বাইকে এসে বাড়ির দরজায় সকেট বোমা চললেও, সেগুলো ফাটেনি। ঘরের জানলা লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। হামলার পেছনে দলের একাংশের চক্রান্ত রয়েছে।”

এরপরেই তিনি বিস্ফোরকভাবে জানান, “তারা কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করে আমাদের দলে রয়েছে।” এদিকে এই ঘটনা নিয়ে যে তৃণমূল ব্যাপক চাপে পড়েছে, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গেছে তৃণমূল নেতৃত্বের কথায়। এদিন এই প্রসঙ্গে কান্দি মহকুমা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম রায় বলেন, “সালারের ঘটনা নিন্দনীয়। আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে সমস্যার সমাধান করব।” সব মিলিয়ে এখন তৃণমূল নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল রাজ্যে।

* ছবিটি প্রতীকী