এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > প্রথা ভেঙেই দিলীপের প্রস্তাবিত প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পেল এমকেডিএ, সংঘাত কি আসন্ন?

প্রথা ভেঙেই দিলীপের প্রস্তাবিত প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পেল এমকেডিএ, সংঘাত কি আসন্ন?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধী শিবিরের সাংসদরা তৃণমূল প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন তাঁদের প্রস্তাবিত টাকায় এলাকার উন্নয়ন করতে বাধা দিচ্ছে শাসক দল। এবার একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রথা ভেঙে তৃণমূল প্রশাসন বিরোধী সাংসদের টাকায় উন্নয়নের কাজ শুরু করতে চলেছে বলে জানা গেছে। বহুদিন ধরেই মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলে আসছেন, তাঁর সাংসদ এলাকা উন্নয়নের বাইরে থাকছে। কিন্তু এবার মেদিনীপুর ও খড়্গপুরে প্রকল্প রূপায়নের কাজে হাত দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে এবার নিয়ম বদলাচ্ছে। মেদিনীপুরে সাংসদ দিলীপ ঘোষের এলাকায় উন্নয়নের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে মেদিনীপুর খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদ এর ওপর।

প্রসঙ্গত, সাংসদেরা প্রতি বছর এলাকা উন্নয়ন তহবিলে পান পাঁচ কোটি টাকা। প্রকল্পের সুপারিশ করেন সাংসদরা। রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয় প্রশাসনকে। সাধারণত পুর এলাকায় পুরসভা এবং গ্রামীণ এলাকায় ব্লক অফিস সেই প্রকল্পগুলি রূপায়ণ করে। সে ক্ষেত্রে রূপায়ণকারী সংস্থা ঠিক হয় প্রশাসনের মাধ্যমে। এতদিন পর্যন্ত শহর এলাকায় পুরসভা প্রকল্প রূপায়ণকারী সংস্থা পছন্দ করত। কিন্তু এবার মেদিনীপুর ও খড়গপুর শহরের কিছু প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এমকেডিএকে। অন্যদিকে মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ বরাবরই দাবি করেন, তাঁর এলাকার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূল বাধা সৃষ্টি করছে। সম্প্রতি খড়্গপুরে এসে তিনি উন্নয়ন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এক্ষেত্রে তিনি এলাকার বিধায়কের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। একই সুরে বিজেপির জেলা সভাপতি শমিত দাস জানিয়েছেন, সাংসদ তহবিলে অর্থ এলেও কাজ করতে প্রশাসন গড়িমসি করছে। তবে এবার এমকেডিএ এর ওপর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকে পাল্টা কটাক্ষে বিঁধেছেন। তাঁর বক্তব্য, মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ মুখে বড় বড় কথা বলেন। নিজের গাফিলতি তিনি অন্যের ঘাড়ে চাপান। একই কথা বলেছেন খড়্গপুরের প্রাক্তন পৌর প্রধান তথা বিধায়ক প্রদীপ সরকার। অন্যদিকে জানা গেছে খড়্গপুরের সাতটি এবং মেদিনীপুরের চারটি প্রকল্প গৃহীত হয়েছে উন্নয়নের জন্য। সে ক্ষেত্রে ব্যয় হতে চলেছে 63 লক্ষ 29 হাজার টাকা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কাজের তালিকায় রয়েছে মেদিনীপুরের নজরগঞ্জ, যেখানে নিকাশি নালার ক্ষেত্রে খরচ হবে 5 লক্ষ 25 হাজার টাকা। এছাড়া শেখপুরার দুটি শৌচাগারের খরচ হতে চলেছে 2 লক্ষ 15 হাজার টাকা। রাঙামাটি অঞ্চলে হতে চলেছে নিকাশি নালা, যেখানে খরচ হবে বলে জানা গেছে 4 লক্ষ 34 হাজার টাকা। এছাড়াও তাঁতিগেরিয়ায় বড় নিকাশি নালার ক্ষেত্রে খরচ হতে চলেছে 9 লক্ষ 40 হাজার টাকা। খড়্গপুরের দেবলপুরে সাব-মার্সিবল পাম্প বসাতে খরচ হতে চলেছে 4 লক্ষ 50 হাজার টাকা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে কংক্রিটের রাস্তা হবার কথা ইন্দা, খড়গপুর এবং দেওয়ানমাড়োতে।

জানা গেছে, এই এলাকাগুলিতে কংক্রিটের রাস্তা হবে এবং যথাক্রমে খরচ হতে চলেছে 5 লক্ষ 50 হাজার টাকা, 4 লক্ষ 25 হাজার টাকা এবং 10 লক্ষ 60 হাজার টাকা। সূত্রের খবর, এমকেডিএ সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ অর্থ থেকে দুটি শহরের 11 টি প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পেয়েছে। ইতিমধ্যে এমকেডিএর কাছে কাজ শুরু করার প্রয়োজনীয় নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। কত দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে, সে কথাও বলা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, চলতি বছরের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।

অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়ন করতে উঠে পড়ে লেগেছে যেমন শাসকদল, ঠিক একইভাবে বিরোধী শিবিরের সাংসদরাও উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁদের টাকা ব্যয় করতে তদবির করে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিতর্ক এড়াতেই এবার মেদিনীপুর খড়গপুর শহরের প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব পুরসভার বদলে মেদিনীপুর খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের উপর দেওয়া হল। আপাতত নজর থাকবে এই প্রকল্পগুলির কাজ কবে শেষ হতে চলেছে তার ওপর।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!